1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শান্তি চাইলে যান নিউজিল্যান্ড

৮ জুন ২০১০

শান্তিতে যদি থাকতে চান তবে যান নিউজিল্যান্ড৷ আর তা যদি পছন্দ না হয়, তবে বেছে নিতে পারেন আইসল্যান্ড বা জাপান৷ অন্তত পরিসংখ্যান তাই বলে৷

https://p.dw.com/p/NlFt
নিউজিল্যান্ড-এর প্রতীক পেঙ্গুইনছবি: AP

অর্থনৈতিক মন্দা বিশ্বজুড়ে বাড়িয়ে দিয়েছে সংঘাত-সহিংসতা আর অপরাধ৷ যা পুরো বিশ্বকেই করে তুলছে বিপদজ্জনক৷ হিসাব কষতে গিয়ে তা দেখতে পেয়েছে লন্ডনের ‘ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস'৷

মঙ্গলবার ২০১০ সালের গ্লোবাল পিস ইনডেক্স প্রকাশ করেছে তারা৷ আর এতে দেখা গেছে, সহিংসতার কারণে গড়ে প্রতি বছর বিশ্বের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৭ ট্রিলিয়ন ডলার৷ আত্মহত্যা, সহিংস বিক্ষোভ আর ভীতি বেড়েছে পাঁচ শতাংশ৷

Neuseeland Landschaft
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর নিউজিল্যান্ডছবি: AP

তবে আশার কথা হলো, যুদ্ধের ঝুঁকি ধীরে ধীরে হলেও কমে আসছে৷ যেমনটা বলছিলেন স্টিভ কিলেলা৷ পিস ইনডেক্স তৈরিতে কাজ করেছেন এ অস্ট্রেলিয়ান৷ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অধিকাংশ স্থানেই যুদ্ধের ঝুঁকি কমছে বলে মনে হচ্ছে৷ এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷'

স্টিভরা বলেছেন, বিশ্বে সহিংসতার মাত্রা ২৫ শতাংশ কমানো গেলে প্রতি বছর বাঁচবে প্রায় পৌনে ২ ট্রিলিয়ন ডলার৷ এটা দুর্দশাগ্রস্ত গ্রিসের ঋণের সমান৷ জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তহবিলও একই পরিমাণ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ২০২০ সালের মধ্যে কার্বন হ্রাসের যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, এ অর্থ দিয়ে তার ব্যয়ও মেটানো সম্ভব৷

BdT Deutschland Hannover Messe Japanische Folkloretänzer
সহিংসতার মাত্রা কম জাপানেওছবি: AP

‘ইন্সটিটিউট ফর ইকনমিক্স অ্যান্ড পিস' তাদের এই ইনডেক্স তৈরিতে যে সব বিষয়কে ভিত্তি ধরেছে, তার মধ্যে রয়েছে – অপরাধের হার, সামরিক ব্যয়, মানবাধিকার পরিস্থিতি, প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্ক ইত্যাদি৷

সংঘাত-সহিংসতার ঝুঁকি ইউরোপে এতদিন কম থাকলেও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তা বাড়িয়ে তুলেছে৷ বিশেষ করে পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও গ্রিসে৷ অন্যদিকে, উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যাচ্ছে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে৷

আফ্রিকায় প্রতিবেশী দেশগুলোর সম্পর্কের উন্নতি কমিয়েছে সংঘাত৷ একই কথা খাটে মধ্যপ্রাচ্যের বেলায়ও৷ সামগ্রিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুই অঞ্চলেই কলঙ্ক হয়ে আছে সুদান, সোমালিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান৷ সূচকে সবার নীচে এ দেশগুলোর স্থান৷ সবচেয়ে বেশি উন্নতি দেখিয়েছে আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া৷

Militär Pakistan
শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে লেগেই আছে সংঘাতছবি: AP Photo

২০০৭ সাল থেকে এ জরিপ শুরুর পর থেকে এবারই অঞ্চল হিসেবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে দক্ষিণ এশিয়া৷ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতে সংঘাতই তার কারণ৷ জর্জিয়ার সঙ্গে সংঘাতের কারণে এই সূচকে রাশিয়ার স্থান নীচে নেমে গেছে৷ আর সামাজিক অস্থিরতায় চীন ঝুঁকিতে পড়তে পারে, এমন আভাসও মিলেছে জরিপে৷

চীন তার সামরিক ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বাড়ালেও এ ক্ষেত্রে এখনও সবাইকে ছাপিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এ খাতে বিশ্বের মোট ব্যয়ের ৫৪ শতাংশই তাদের৷ তবে তাদের যুক্তি, ইরাক ও আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানই এর কারণ৷

এ নিয়ে স্টিভ কিলেলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি গত কয়েক বছরে এভাবে যুদ্ধে না জড়াতো, তবে অনেক জ্বালানি বেঁচে যেত, অর্থনীতির চেহারাও হতো অন্যরকম৷ হয়তো তাহলে আমাদের বর্তমান অবস্থা দেখতে হতো না৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন