1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষকদের মর্যাদা এখনো রীতিমতো বেশি

মোহাম্মদ আজম৮ জুন ২০১৬

শিক্ষকদের মর্যাদার ঘাটতি নিয়ে বাংলাদেশের সমাজে একটা উদ্বেগ আছে৷ উদ্বেগটা দুটি কারণে অমূলক, প্রথমত, শিক্ষকদের সাধারণ সামাজিক মর্যাদা আসলে যথেষ্ট আছে, দ্বিতীয়ত, শিক্ষকসমাজের কার্যকর মর্যাদা আসলেই কমেছে এবং কমছে৷

https://p.dw.com/p/1J2AD
Bildergalerie Weltbildungsbericht Schulkinder Indien
ছবি: Sam Panthaky/AFP/Getty Images

হ্যাঁ, শিক্ষকদের সাধারণ সামাজিক মর্যাদা যথেষ্টই আছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিক্ষকসমাজ সেই মর্যাদার অপব্যবহারও করে থাকেন৷ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, রাস্তায় কিংবা অফিসে শিক্ষক-পরিচয়টা বেশ কাজ করে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ ক্লাসের রাজনীতিপুষ্ট রাগী যুবারা শিক্ষকদের সামনে যেরকম মাথা নুইয়ে থাকে, তাতে শিক্ষকের মর্যাদা-ঘাটতির কোনো আলামত প্রকাশিত হয় না৷ আমার আন্দাজ, বাংলাদেশের শিক্ষকসমাজ অন্য কোনো যোগ্যতায় নয়, কেবল শিক্ষকতার চাকরি করেন বলে যে শ্রদ্ধা-সম্মান ভোগ করেন, বেশির ভাগ শিক্ষকের ক্ষেত্রেই তা রীতিমতো বেশি৷

কিন্তু এ ব্যাপারে যাদের উদ্বিগ্ন হওয়াটা কাজের, এ ব্যাপারে যাদের উদ্যোগ-আয়োজন করার কথা, তাদের কোনো মাথাব্যথা দেখা যাচ্ছে না৷ যারা উদ্বিগ্ন, তাদের কিছু করার ক্ষমতা নাই৷ তার চেয়ে বড় কথা, শিক্ষকের মর্যাদাটা আসলে কী বস্তু, আর তা কার্যকরভাবে বাড়ানোর উপায়ই বা কী, সে সম্পর্কে উদ্বিগ্নরা বেখেয়াল৷ এ কারণেই উদ্বেগটা অমূলক৷

হিন্দু বা মুসলমানের কাছে এবং সম্ভবত অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাছেও, শিক্ষক খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷ তার কারণ, ধর্মীয় শিক্ষায় সেকালে পারলৌকিক তাৎপর্যের সাথে বুনিয়াদি অর্জনেরও সুযোগ ছিল৷ আজকাল আমরা শিক্ষা ও শিক্ষক শব্দগুলো যে অর্থে ব্যবহার করি, তা একেবারেই আলাদা৷ ইংরেজ আমলে এ বস্তুর উদ্ভব ঘটেছিল মূলত ইংরেজি শিক্ষার মাধ্যমে পশ্চিমা আদব হাসিল করা এবং ঔপনিবেশিক সরকারের চাকরি বাগানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে৷

শিক্ষক হিসাবে ডেভিড হেয়ার কিংবা ডিরোজিওর যে কিংবদন্তিতুল্য খ্যাতি, তার গোড়া আছে শিক্ষার ওই কেজো ভূমিকায়৷ শিক্ষকসমাজের মর্যাদা এরপর থেকে ক্রমাগত কমেছে, সঙ্গত কারণেই কমেছে; কিন্তু শ্রদ্ধা-সম্মানের স্মৃতিটা রয়ে গেছে৷ বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষকদের সম্মানের নামে যে বস্তুর আকাঙ্ক্ষাটা জায়মান আছে, তা আসলে অংশত ধর্মীয়, অংশত ঔপোনিবেশিক স্মৃতি৷ এমনিতে পেশাগত দিক থেকে শিক্ষকদের জন্য বাড়তি মর্যাদা খুব জরুরি কিছু নয়৷ খানিকটা বাড়িয়ে বলা যাক, এরকম মুফতে-পাওয়া সম্মান আসলে থাকাই উচিত নয়৷

আধুনিক দুনিয়ায় শিক্ষা এবং শিক্ষকের গুরুত্বের দিকটা একটু আলাদা৷ উন্নত সমাজগুলো মূলত জ্ঞানভিত্তিক সমাজ৷ প্রক্রিয়ার দিক থেকে শিক্ষা এবং শিক্ষার নিয়ন্তা হিসাবে শিক্ষকসমাজ জ্ঞানের কারবারি৷ তাঁরা জ্ঞান নিয়ে কারবার করেন বলে তাঁদের মধ্যে ‘জ্ঞানী'র সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি৷ এই ‘জ্ঞানী' শিক্ষকদের কল্যাণেই গোটা পেশাটাই খানিক বাড়তি মর্যাদা পেয়ে যায়৷

শিক্ষকদের বাড়তি মর্যাদার ব্যাপারটা অবশ্য লিবারেল শিক্ষাতত্ত্বেও স্বীকৃত৷ মানুষ তার শৈশব-কৈশোরেই সাধারণত শিক্ষা-প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়৷ ধরে নেয়া হয়, এ সময়ের বিনিয়োগ পুরো জীবনটা যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সঞ্চয়ের জোগান দেবে৷ শিক্ষাকে ভাবা হতো এমন এক বিনিয়োগ, যার ধরণ ভিন্ন, মেয়াদ দীর্ঘ আর উৎপাদনও অনেক বেশি লাভজনক৷ এ প্রক্রিয়ার মুখ্য অনুঘটক হিসাবে শিক্ষকরা তাই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হতেন৷ সাম্প্রতিক দশকগুলোতে নিও-লিবারেল শিক্ষানীতির প্রতাপে এ ধারণা অবশ্য বেশ কতকটা বদলে গেছে৷

Indien Schüler Symbolbild
ছবি: AFP/Getty Images/S. Hussain

এখন শিক্ষাকে আর দশটা পণ্যের মতোই দেখা হচ্ছে৷ স্বভাবতই সে শিক্ষার বাজারই এখন রমরমা, যে শিক্ষা বাজারে বিকোয়৷ বাংলাদেশেও তাই হচ্ছে৷ বাজারি শিক্ষকগণ যথেষ্ট সম্মান পাচ্ছেন৷ সম্মানটা বাজারের নিয়ম মেনে নগদ মুদ্রাতেই পরিশোধিত হচ্ছে৷ উদ্বেগজনক কিছু ঘটছে না৷

কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষার সামগ্রিক অবস্থা আসলেই ভয়াবহ এবং অবস্থার উন্নতিকল্পে দ্রুত উদ্যোগ-আয়োজন শুরু করা দরকার৷ লোকে সাধারণত অবস্থার ভয়াবহতা আঁচ করতে পারে, কিন্তু ব্যাখ্যা করতে পারে না৷ ফলে শিক্ষকের মর্যাদাহানি ইত্যাদি কথার মোড়কে শিক্ষার দুরবস্থার কথাই আসলে প্রকাশ করে৷

আরেকটা বড় কারণ আছে্৷ কয়েক দশক আগেও বিপুল গ্রাম-বাংলায় শিক্ষিতের হার কম ছিল৷ অন্য পেশাজীবীর সংখ্যা কম ছিল৷ হাই স্কুলের হেডমাস্টার তখন অনেক বড় ব্যাপার ছিল৷ এ ধরনের বহু শিক্ষক যে ব্যাপক খাতির-যত্ন পেতেন, একটু মনোযোগ দিয়ে পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে, তার কারণ এঁদের অনেকেই ছিলেন আসলে গ্রামীণ এলিট৷ তাঁদের শিক্ষা, শিক্ষা-প্রদান এবং অপরাপর আভিজাত্যের মধ্যে কোনো বিচ্ছেদ ছিল না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথাই ধরা যাক৷ ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশির ভাগ শিক্ষক উঁচু সামাজিক মর্যাদা ভোগ করতেন৷ এর মূল কারণ, তখন সমাজের বিপুল সাধারণের মধ্যে শিক্ষকরা ছিলেন মাথা-তোলা উঁচু অংশ, একেবারে বুনিয়াদি সাফল্যের বিচারেই৷ এখন পরিস্থিতি পাল্টেছে৷ সমাজের আরো বহু গুরুত্বপূর্ণ অংশ তৈরি হয়েছে৷ শিক্ষকসমাজের আগের সামাজিক প্রাধান্য থাকার কোনো কারণই আর নেই৷ তাই এ ব্যাপারে হা-হুতাশ আসলে পশ্চাৎপদতা৷ বস্তুত, এ অবস্থা সমাজের প্রগতি নির্দেশ করে, সমৃদ্ধি নির্দেশ করে৷

Indien Hinduistische Priesterin Acharya Savitha
ছবি: Getty Images/AFP/N. Seelam

ভাবনাটা আসলে ভাবা উচিত কাঠামোগত দিক থেকে৷ মানুষ ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ভাবতেই অভ্যস্ত৷ এ জন্যই আদর্শ শিক্ষকের ধারণাটা সমাজে এত প্রবল৷

আসলে আদর্শ শিক্ষক কোনো কাজের কথা নয়৷ হওয়া উচিত আদর্শ শিক্ষা-কাঠামো৷ সেই কাঠামোয় সমস্ত ব্যক্তি নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবে৷ কেউ কেউ কাঠামোগত দায়িত্ব পালন করেও নিজের প্রতিভা ও তৎপরতায় ব্যক্তিগত সিদ্ধি প্রদর্শন করবে৷ তাঁরা বাড়তি সম্মান পাবেন৷ কিন্তু কিছুতেই কাঠামোকে গৌণ করে নয়৷ শিক্ষকের মর্যাদা বলে কোনো ধারণা যদি থেকেই থাকে, তাহলে তা অর্জিত হতে পারে একমাত্র শিক্ষাকাঠামোর মর্যাদা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে৷ তিন ভাগে ভাগ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কথাটা বিশদ করছি৷

প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের মর্যাদা, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, একটা হাস্যকর ধারণা৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ শিক্ষকরা কাজ করেন হতশ্রী অফিসে, বেতন পান আশপাশের যে কোনো চাকুরের চেয়ে কম৷ সঙ্গত কারণেই অন্য চাকরি জোটাতে ব্যর্থ হয়েই সাধারণত লোকে মাস্টারির কাজ নেয়৷ তাহলে মর্যাদা জন্মাবে কোন ভিতের ওপর?

মোহাম্মদ আজম
মোহাম্মদ আজম, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ছবি: privat

কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের সালাম-আদাবকে সম্মান মনে করলে অবশ্য আলাদা কথা৷ কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার ক্ষেত্রেও মূল সমস্যা বস্তুগত ও নির্বস্তুক কাঠামোর সমস্যা বলা যায়, সমস্যাটা ‘ভালো' অফিসের্৷ বাংলাদেশের সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষক-নিবাস সম্পর্কে একটা দায়সারা জরিপ চালালেও বোঝা যাবে, অবকাঠামোর দৈন্য শিক্ষকদের মানুষ হিসাবে কতটা খাটো করে রাখে৷

আমলাতন্ত্রের প্রতাপের কথাও বলা দরকার৷ কলেজ-পর্যায়ের আরেকটা বড় সমস্যা শিক্ষকদের ক্যাটাগরি না করা৷ কাঠামোর মধ্যে ভালো-খারাপ চিহ্নিত করার বন্দোবস্ত না থাকায় সুস্থ প্রতিযোগিতার ধারা গড়ে ওঠে না৷ নিজেদের সম্মানের আকাঙ্ক্ষা না থাকলে বাইরের সম্মান আসবে কিভাবে?

উপরে যে দুই স্তরের কথা বললাম, তার কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য দরকার বিনিয়োগ৷ শুধুই বিনিয়োগ৷ ভালো অফিস অফিসারদের সম্মান বাড়াবে৷ আকর্ষণীয় বেতন-ভাতা আকর্ষণীয় তরুণ-তরুণীকে শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করবে৷ শিক্ষার মান ভালো করার একমাত্র উপায় কার্যকর প্রশিক্ষণ-কাঠামো৷ তার জন্যও দরকার বিনিয়োগ৷

পরিস্থিতি পাল্টালে সম্মানটা পায়ে হেঁটে ধরা দেবে৷ কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাবটা ভিন্ন৷ বাংলাদেশের শিক্ষকদের মধ্যে কেবল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকরাই অন্য চাকরি না পেয়ে পড়াতে আসেন না৷ সাধারণত তাঁরা ক্লাসের সবচেয়ে ‘ভালো' ছাত্র৷ এ কারণে তাঁদের নিজেদেরও জোর থাকে, দশের কাছেও তাঁরা খাতির পেয়ে থাকেন৷

সম্প্রতি জাতীয় বেতন স্কেলে স্থান-নির্ধারণী লড়াইয়ে রীতিমতো প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ, আমলাতন্ত্র সবার সাথে লড়ে শিক্ষকরা যে বিজয়ীর বেশে ফিরল, তার অন্যতম কারণ ওই ‘যোগ্যতা'৷ কিন্তু আগেও জানা ছিল, এ বাক-বিতণ্ডা থেকেই বেশ পরিষ্কার হয়ে গেল, সমাজে শিক্ষকদের আগে যে পাত্তাটা ছিল, এখন আর তা নেই৷ সমাজে আছে, কিন্তু রাষ্ট্রে নেই; নীতি-নির্ধারকদের কাছে নেই৷

আগে ছিল, এখন নাই-এ সত্যটা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি৷ তাঁরা এর কারণ অনুসন্ধান করেছেন৷ আগের যুগের অনেক বাঘা বাঘা শিক্ষকের নজির টেনেছেন৷ এখন আর সেরকম পয়দা হচ্ছে না বলে আফসোস করেছেন৷

কেউ কেউ শিক্ষকদের রাজনৈতিক সক্রিয়তাকেই এ অবনয়নের প্রধান কারণ ভেবেছেন৷ এ চিন্তাগুলো গলদপূর্ণ৷ আগেই বলেছি, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পুরানো প্রতাপ এখনো বিদ্যমান থাকার কোনো কারণ নেই৷ আর না থাকাটাও আফসোসের কারণ নয়৷ কিন্তু সারা দুনিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যে মর্যাদা পান তা বাংলাদেশেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত৷ হয়নি যে তার কারণ, শিক্ষকদের রাজনীতি নয়৷

অনেকেই জানেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় শিক্ষকদের একটা বড় অংশ শিক্ষক-গবেষক হিসাবে ভালো৷ রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি এবং নির্লজ্জ পক্ষপাত যথেষ্ট ক্ষতি করে বটে, কিন্তু এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনতির মূল কারণ নয়৷ মূল সমস্যা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুবই কম টাকায় চলে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কোনো অ্যাকাডেমিক পরিকল্পনা নাই এবং উচ্চশিক্ষা বা গবেষণার লেশমাত্র সম্পাদন না করেই এক-একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় নাম নিয়ে বসে আছে৷

বাংলাদেশের সমাজে এবং এমনকি শিক্ষকদের মধ্যে এ চিন্তা অত্যন্ত দুর্বল যে, শিক্ষকের ব্যক্তিগত বিদ্যা বা কৃতিত্বের সাথে প্রতিষ্ঠান-কাঠামোর উৎকর্ষের সম্পর্ক অতি অল্প৷ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ হয় গবেষণার সাফল্যের জন্য; গবেষণার ফল ব্যবহৃত হয় রাষ্ট্র আর সমাজের বিচিত্র কাজে, মানুষের সামগ্রিক কায়কারবারে৷ বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো প্রক্রিয়া চালু নাই৷ ফলে খারাপ শোনালেও বলা দরকার, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আসলে তাঁদের প্রাপ্যের চেয়ে বেশি মূল্য পেয়ে থাকেন৷

উপরে শিক্ষার তিনটি স্তর সম্পর্কেই আর্থিক গরিবির কথা বলা হয়েছে৷ আসলেই গরিবিই শিক্ষা এবং শিক্ষকদের মর্যাদাহানির মূল কারণ৷ বিস্ময়কর হলেও সত্য, বাংলাদেশে শিক্ষায় বরাদ্দের হার জিডিপির দুই শতাংশের কম, যেখানে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কায় এ হার চারেরও বেশি৷ উন্নত বিশ্বের কথা না-ই বা তুললাম৷ লিবারেল জমানায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার দায়িত্ব সামান্যই পালন করছে৷ এখন নিও-লিবারেল দৃষ্টান্ত দিয়ে নিজের দায় চাপাতে চাচ্ছে বেসরকারি খাতে৷ এমতাবস্থায় শিক্ষা ও শিক্ষকের মর্যাদা না কমার কোনো কারণ নাই৷ ন্যূনতম বরাদ্দ নিশ্চিত করার ব্যাপারে উদ্বেগ না দেখিয়ে শিক্ষকের মর্যাদার ঘাটতি নিয়ে যদি সমাজ ক্রমাগত উদ্বেগ দেখাতে থাকে, তাহলে তাকে অমূলক ছাড়া আর কী বলা যায়?

মোহাম্মদ আজম, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষক অবমাননার কয়েকটি ঘটনার পরও লেখক মনে করেন, বাংলাদেশে শিক্ষকরা এখনও যথেষ্ট মর্যাদা পান৷ আপনি কী মনে করেন? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য