1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ জানুয়ারি ২০১৪

জনপ্রতিনিধিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিশুদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না বলে নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়৷ ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1Ay1V
Bangladesch Schüler Schulkasse in Dhaka Prüfung
ছবি: picture-alliance/landov

জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সরকার গঠনের পর, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের মধ্যে সংবর্ধনা নেয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়৷ এই সব অনুষ্ঠানের জন্য স্কুলের শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়৷ না খেয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে তাদের কষ্ট হলেও, তাদের কিছু করার থাকে না৷ কারণ স্কুল কর্তৃপক্ষের কড়া নির্দেশ৷ এছাড়া এলাকায় সংবর্ধনা হয়, সেখানকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখা হয়৷ এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখতে অনুমতি দিয়ে থাকে খোদ শিক্ষা বিভাগ৷

গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-এমপিদের এ ধরণের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সচিত্র খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর, এবার টনক নড়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের৷ সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয় এক পরিপত্র জারি করে, যাতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷ বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এভাবে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখলে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

পরিপত্রে বলা হয়েছে, স্কুল বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের এভাবে খোলা আকাশের নীচে দাঁড় করিয়ে রাখলে শিক্ষার পরিবেশ যেমন নষ্ট হয়, তেমনি শিক্ষার্থীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷

শিক্ষাবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এর জন্য শুধু রাজনীতিবিদ নয় স্কুল কর্তৃপক্ষও দায়ী৷ তারা মন্ত্রী-এমপিদের খুশি করার জন্য শিক্ষার্থীদের বাধ্য করেন রাস্তায় দাঁড়াতে৷ তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে রাজনৈতিক নেতারা কিভাবে এটাকে গ্রহণ করেন, তা ভাবতে অবাক লাগে৷

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এটা শিশুদের অধিকার লঙ্ঘন করা এবং অবশ্যই আইন বিরুদ্ধ৷ এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ পাঁচ বছর পর আবার একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷ আর যেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়৷

রাশেদা কে চৌধুরীর কথায়, এর মধ্যে এক ধরণের ঔপনিবেশিক মানসিকতা কাজ করে৷ ঔপনিবেশিক আমলে ‘লাট সাহেবরা' আসলে এভাবেই শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখতেন৷ এখনকার রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ সেই মানসিকতারই অধিকারী৷ তাই তিনি এই মানসিকতা ত্যাগের আহ্বান জানান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য