1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিল্পোন্নত দুনিয়ায় শিশুদের জীবনে দারিদ্র্যের কষাঘাত

১৫ জুন ২০১৭

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংগঠন ইউনিসেফের একটি রিপোর্টে ‘প্রথম বিশ্বে’ দারিদ্র্যসীমায় বসবাসরত শিশুদের পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে৷ দৃশ্যত দেশ অনুযায়ী শিশুদের অবস্থায় অনেক ফারাক৷

https://p.dw.com/p/2ejsJ
Deutschland Symbolbild Kinderarmut
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

ইউনিসেফের বিবরণ অনুযায়ী, জার্মানির স্থান শিশুকল্যাণ তালিকার উপরের দিকে; অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের দারিদ্র্য সামগ্রিক গড়ের চেয়ে বেশি৷ সব মিলিয়ে ধনি দেশগুলিতে যে এই পরিমাণ শিশু আপেক্ষিক দারিদ্র্যে জীবনযাপন করছে, তা একটি সাবধানবাণী হিসেবে গণ্য করা উচিত, বলেছে ইউনিসেফ৷

রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে, ‘‘উচ্চ আয়ের দেশ মানেই শিশুদের পরিস্থিতির উন্নয়ন নয়,'' বলেছেন ইউনিসেফের গবেষণা কেন্দ্র ‘ইন্নোসেন্টি'-র পরিচালিকা সারা কুক৷ তিনি সব সরকারের প্রতি শিশুকল্যাণে তারতম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ 

ইউনিসেফের এই প্রতিবেদন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য কর্মসূচির অঙ্গ৷ ৪১টি অপেক্ষাকৃত উচ্চ গড় আয়ের দেশে শিশুদের পরিস্থিতি যাচাই করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে৷

দেশ থেকে দেশে অনেক তফাৎ

দেশ থেকে দেশে শিশুদের পরিস্থিতিতে অনেক ফারাক রয়েছে৷ ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও নরওয়েতে প্রতি ১০টি শিশুর মধ্যে মাত্র একজন দারিদ্র্যে দিন কাটায় – এটাই হলো সেরা ফলাফল৷ সে তুলনায় ইসরায়েল ও রুমানিয়াতে শিশুদের এক-তৃতীয়াংশ বড় হয় দারিদ্র্যের মধ্যে

শিশুকল্যাণে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলির পরেই আসে জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, স্লোভেনিয়া ও নেদারল্যান্ডস৷

বেছে নেয়া ৪১টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ ইউরোপ ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি ছাড়া লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে শিশু দারিদ্র্য সবচেয়ে বেশি৷

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ শতাংশ শিশু দারিদ্র্যে দিন কাটায় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যা কিনা সামগ্রিক গড়, অর্থাৎ ২০ শতাংশ দরিদ্র শিশুর চেয়ে অনেক বেশি৷

পুষ্টি ও শিক্ষার ব্যাপক অভাব

ইউনিসেফের রিপোর্টে শিশু দারিদ্র্যের কারণ নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে, যার মধ্যে প্রথমেই আসে শিক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তা৷

শিল্পোন্নত বিশ্বে প্রতি আটজন শিশুর মধ্যে একজন অপুষ্টিতে ভোগে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে এই হার প্রতি পাঁচজন শিশুর মধ্যে একজন৷

যেসব দেশে শিক্ষাব্যবস্থা ভালো, সেখানেও এই ঝুঁকি আছে বলে ইউনিসেফ সাবধান করে দিয়েছে৷ যেমন ফিনল্যান্ড বা জাপানের স্কুলের শিক্ষাপ্রণালীকে সারা দুনিয়ায় সেরা বলে গণ্য করা হয়ে থাকে৷ তা সত্ত্বেও ঐ দু'টি দেশে ১৫ বছর বয়সি শিশুদের এক-পঞ্চমাংশ ঠিকমতো লিখতে-পড়তে পারে না৷

রিপোর্টে সাম্প্রতিক কিছু আশাজনক লক্ষণের কথাও বলা হয়েছে, যেমন, জরিপের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিতে কিশোরীদের সন্তানসম্ভবা হওয়ার প্রবণতা বা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মদ্যপানের প্রবণতা দৃশ্যত কমতির দিকে৷ 

ডিএম/এসি/এসিবি (ডিপিএ, কেপিএ)