1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই

পিটার টেফার/এপিবি২৬ অক্টোবর ২০১৩

বিশ্বে অপুষ্টির দিক থেকে গুয়াতেমালার অবস্থান শীর্ষে৷ সরকার ‘ক্ষুধা শূন্য' পরিকল্পনা হাতে নিলেও দারিদ্র্য এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা একেবারেই পাচ্ছেন না সহায়তা৷

https://p.dw.com/p/1A6DV
Children play, with empty bottles and tins, near their homes in the city of Antananarivo, Madagascar, Thursday, Oct. 24, 2013. Madagascar will hold elections on Friday that organizers hope will end political tensions that erupted in a 2009 coup and help lift the aid-dependent country out of poverty. The island nation in the Indian Ocean plunged into turmoil after Andry Rajoelina, the current president, forcibly took power from former President Marc Ravalomanana with the backing of the military. (AP Photo/Schalk van Zuydam)
ছবি: picture-alliance/AP Photo

গুয়াতেমালার সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ক্ষুধা৷ পামুমুস গুয়াতেমালার একটি পাহাড়ি গ্রাম৷ সেখানে এক থেকে চার বছর বয়সি ১১২টি শিশুর মধ্যে ৬৭ জনই ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে৷ আর পাঁচ বছরের নীচে দু'জন শিশুর মধ্যে একজন মারাত্মক অপুষ্টির শিকার৷

স্থানীয় চিকিৎসক আরনুলফো আলভারেজ জানালেন, পামুমুসের বেশিরভাগ অধিবাসী কৃষক, যাঁরা গম, যব এবং শাক-সবজির চাষ করেন৷ কিন্তু এগুলো বেচে যে পরিমাণ অর্থ তাঁরা পান, তা দিয়ে তাঁদের সংসার চলে না৷ তাঁদের মাথাপিছু আয় দিনে আড়াই ইউরো৷ এ অর্থ দিয়ে পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, ভালোমতো খাবারই জোটে না তাঁদের৷

ডয়চে ভেলেকে তিনি জানান, এ সব শিশুরা যেসব খাবার খায় তাতে আমিষ, ভিটামিন আর খনিজ পদার্থের অভাব রয়েছে, যা তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷

Enfants du Guatemala © Ariane Citron - Fotolia.com #31458816
গুয়াতেমালার সবচেয়ে বড় সমস্যা এখন ক্ষুধাছবি: Fotolia/Ariane Citron

বলা বাহুল্য, অপুষ্টি এখন গুয়াতেমালার সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ২০১৫ সালের মধ্যে অপুষ্টির হার ১০ ভাগে নামিয়ে আনতে ‘জিরো হাঙ্গার প্যাক্ট' নামের একটি প্রস্তাবে গত বছর সই করেছেন প্রেসিডেন্ট অটো পেরেজ মলিনাইট৷ সেই লক্ষেই সম্প্রতি পামুমুস সফর করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট রোক্সানা বালদেটি৷ প্রকল্পের অংশ হিসেবে শিশুদের ভিটামিন এবং খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে৷ এমনকি, কৃষকদের বীজ দেয়া ও শিশুদের মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ পঞ্চবার্ষিক এ পরিকল্পনার ব্যয় ধরা হয়েছে অন্তত চার কোটি ইউরো৷

সম্প্রতি গুয়াতেমালা সফরে গিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ডেভেলপমেন্ট আন্ড্রিস পিয়েবাল্গস বলেছেন, আগামী সাত বছরে অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গুয়াতেমালাসহ মধ্য আমেরিকার চারটি দেশকে ৭৭৫ মিলিয়ন ইউরো অর্থ সহায়তা দেয়া হবে৷

তবে অভিযোগ উঠেছে যে, আদিবাসী ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে খাদ্যাভাব বেশি, সেখানে পৌঁছাচ্ছেনা কোনো সহায়তা৷ সোলোলা গ্রামের আদিবাসীদের প্রতিনিধি আলব্যার্টো পানজোজ সিসাজৌ জানালেন, তাঁরা কখনো কোনো আন্তর্জাতিক সহায়তা পাননি৷ তাঁদের অভিযোগ, সরকার আদিবাসী ও দরিদ্র মানুষদের তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সহায়তা চায়, কিন্তু তাঁরা সেই অর্থ শেষ পর্যন্ত পান না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য