1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুদের পঙ্গু করে ভিক্ষা বন্ধে হাইকোর্টের রুল

৩ জানুয়ারি ২০১১

বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে উন্মাদনা, শিশুদের পঙ্গু করে ভিক্ষা করানো বন্ধে হাইকোর্টের রুল, ছিনতাই হওয়া জাহাজ, এসবই আজকের ঢাকার পত্রপত্রিকার প্রধান খবর৷

https://p.dw.com/p/zsl4
এধরনের শিশুদের ধরে নিয়ে পঙ্গু করে ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয়ছবি: DW

টিকিট নিয়ে উন্মাদনা

আজকের পত্রিকাগুলোর শিরোনাম আর ছবি দেখলেই বোঝা যাবে উন্মাদনা কতখানি৷ যেমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের শিরোনাম ‘উল্লাস-হতাশা-হাঙ্গামা নিয়ে শুরু'৷ সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতাকে দমাতে পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি৷ প্রথম আলোর শিরোনাম ‘আনন্দ বেদনার টিকিট'৷ ইত্তেফাক লিখেছে ‘বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে তুলকালাম'৷ সঙ্গে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার ছবি৷ কালের কন্ঠেও একই ধরণের ছবি ছাপা হয়েছে৷ আর শিরোনাম ‘রুদ্ধশ্বাস টিকিটযুদ্ধ'৷ সমকালের শিরোনাম ‘টিকিট নিয়ে মহা হুলস্থূল'৷ তবে পত্রিকাটি বিক্ষোভের নয়, ছবি ছেপেছে ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা জনসমুদ্রের৷ আর ডেইলি স্টারে একজনের ছবি ছাপা হয়েছে, যিনি টিকিট না পেয়ে মাথা নুয়ে দু:খ ভারাক্রান্ত মনে বসে আছেন৷ অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, টিকিট পেয়ে কেউ খুশি হয়েছেন আর কেউ টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েছেন৷ এদিকে কোনো কোনো পত্রিকা বলছে টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়াটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ৷ ফলে টিকিট কাটতে সময় লাগছে বেশি৷ একারণে দাঁড়িয়ে থাকা জনগণ মাঝে মধ্যে উত্তেজিত হয়ে পড়েন৷ এছাড়া সব পত্রিকার প্রতিবেদনগুলো পড়লে টিকিট কাটা নিয়ে মজার মজার অনেক তথ্য জানা যাবে৷

হাইকোর্টের রুল

কদিন আগে বিভিন্ন পত্রিকায় একটা খবর বেরিয়েছিল৷ ভিক্ষা করানোর জন্য কতটা নির্মমভাবে শিশুদের পঙ্গু করা হয় তার কিছু লোমহর্ষক কাহিনী ছিল প্রতিবেদনগুলোতে৷ সেটা দেখে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেছে৷ এই খবরটি আজকের সব পত্রিকার প্রথম পাতায় রয়েছে৷ সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্য৷ যেখানে তিনি বলেছেন, সরকার চিরতরে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে চায়৷ এবং সেটা করা হবে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে পুনর্বাসন করে৷ তাঁর এই বক্তব্যটি বেশ গুরুত্ব দিয়ে ছেপেছে পত্রিকাগুলো৷

ছিনতাই হওয়া জাহাজের সর্বশেষ

কালের কন্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে৷ কিন্তু সেটা কবে নাগাদ দিতে হবে সে সম্পর্কে কিছু বলেনি৷ এমনটাই দাবি মালিক কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার৷ এদিকে জাহাজে থাকা জ্বালানি তেল, পানি ও খাদ্যের মজুদ ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন জাহাজের ক্যাপ্টেন৷ জিম্মিরা গত শুক্র ও শনিবার তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন বলেও জানাচ্ছে কালের কন্ঠ৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম