1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুরাই অর্থসংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী: ইউনিসেফ

২৫ জুন ২০১০

বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকটের গুরুতর ফল ভোগ করছে বিকাশমুখী ও দ্রুত উন্নত হতে থাকা দেশগুলোর শিশুরা৷ জি-এইট ও জি-টোয়েন্টি দেশগুলোকে ইউনিসেফ শিশুদের জন্য খাদ্য ও শিক্ষার আরও ভাল সুযোগ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/O3ZO
বিশ্বায়নের পরোক্ষ শিকার শিশুরাওছবি: UNICEF

ব্যাপারটা তাৎপর্যহীন নয়৷ ক্যানাডায় জি-এইট ও ও জি-টোয়েন্টি দেশগুলোর শীর্ষবৈঠকের ঠিক মুখে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলিতে শিশুদের ওপর বিশ্বব্যাপী অর্থ সংকটের ক্ষতিকর প্রভাবের দিকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের দৃষ্টি আকর্ষণ করল ইউনিসেফ৷ জাতিসংঘের এই জরুরি শিশু কল্যাণ তহবিলের জার্মান শাখার প্রধান ইউর্গেন হেরেউস বলেছেন, মানবিক আদলের এক অর্থনৈতিক উজ্জীবন আমাদের দরকার৷

খাবার দাবারের চড়া দাম, আয় কমে যাওয়া এবং বেকার মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার আঘাতটা সবচেয়ে বেশি পড়ছে সেই সব পরিবারের ওপর যারা কিনা বিশ্ব অর্থসংকটের আগেই প্রান্তিক জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছিল৷ ফলে ঐ সব পরিবারের ছেলেমেয়েরাই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী৷ তাই বিশ্বনেতাদের কাছে ইউনিসেফের দাবি, লক্ষ লক্ষ এই শিশুদের জন্য খাদ্য ও শিক্ষার উন্নততর সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে৷ যদি না করা হয় তাহলে বহু দশকের চেষ্টায় যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা নিষ্ফল হয়ে যাবে বলে মনে করে এই আন্তর্জাতিক শিশু কল্যাণ সংস্থা৷

ইউনিসেফ-এর ২০১০-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু এই চলতি বছরেই চরম দারিদ্র্যদশায় থাকা মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ৪০ লাখ বেড়ে ১০০ কোটির ওপরে পৌঁছে গেছে৷ বিশ্বের অর্থ ও আর্থিক সংকটের ক্ষতিকর প্রভাব এক এক দেশে এক এক রকম৷ বাংলাদেশ থেকে শুরু করে মিসরের মত বহু দেশে সাধারণ মানুষের অনেকের পক্ষে জীবন চালানো সম্ভব হয়েছে শুধু এই কারণে যে তাদের পরিবারের কেউ বিদেশ থেকে টাকা পাঠিয়েছে৷ তবে গত বছর দুবাই-এ নির্মাণ খাতের হাজার হাজার বিদেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে এবং তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার কারণে শ্রীলংকার চা রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ ফলে এই সব দেশের জন্য মানুষের মৌল প্রয়োজনগুলো মেটানোর কাজ হয়ে উঠছে দূরূহ৷ সঙ্গতিহীন অথবা সামান্য আয়ের পরিবারের ছেলেমেয়েদের ওপর তার আঘাত পড়ছে বেশি৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন