1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশুরা নিজের পরিবারেই বেশি যৌন নিপীড়নের শিকার

১৫ জুন ২০১৭

জার্মানিতে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ৭০ শতাংশই ঘটনা ঘটে পরিবারের মধ্যে বা পরিচিত মহলে৷ বহুক্ষেত্রে মায়েরা সময়মতো হস্তক্ষেপ করেন না বলে নিপীড়ন চলতে থাকে৷

https://p.dw.com/p/2ekX6
Ein Stoff-Teddy liegt auf dem Boden, Symbolfoto Kindheitstrauma und Gewalt Kindesmissbrauch in Deutschland
ছবি: picture alliance/dpa

একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন জার্মানিতে শিশুদের যৌন নিপীড়নের বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছে৷ বুধবার কমিশন তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন পেশ করে৷ কমিশন ইতিমধ্যেই শত শত নিপীড়িত ও নিপীড়নের সাক্ষীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে ও এজাহার সংগ্রহ করেছে৷

কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জার্মানিতে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে প্রধানত পরিবারের মধ্যে অথবা পরিচিত মহলে৷ এর পরেই আসে স্কুল বা অপরাপর প্রতিষ্ঠান৷

প্রধানত মেয়েরাই যৌন নিপীড়নের শিকার হয় বলে বার্লিনে প্রতিবেদনটি পেশ করার সময় জানান কমিশনের প্রধান সাবিনে আন্ড্রেসেন৷

শিশুদের যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে জার্মানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্য, যার পরেই আসছে দক্ষিণের বাভেরিয়া রাজ্য৷ 

অভাগা যেদিকে চায়...

পরিবারের মধ্যে যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে শিশুরা প্রায়ই কোনো সাহায্য পায় না অথবা দেরিতে সাহায্য পায়, কেননা মায়েরা সময়মতো হস্তক্ষেপ করেন না, বলেছেন গবেষকরা৷

যারা শৈশবে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তারা ছাড়া সাক্ষীদের মতেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিগ্রহকারী হয় শিশুটির বাবা, ভাই অথবা সৎভাই৷

এখানে মায়েদের মনোভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, কেননা, মাত্র স্বল্প কয়েকটি ক্ষেত্রে মায়েরা নিগৃহীত শিশুদের কথা বিশ্বাস করে তাদের পাশে দাঁড়ান বলে জরিপে দেখা গেছে৷

মায়েরা যে তাদের সন্তানের যৌন নিপীড়ন নীরবে সহ্য করে যান, তার কারণ স্বামী বা সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কে এই সব মহিলাদের অসহায়ত্ব৷

‘‘এই রিপোর্ট থেকে মায়েদের ব্যর্থতার একটা ধারণা পাওয়া যায়, কিন্তু এ-ও দেখা যায় যে, শিশুদের যে কিভাবে সাহায্য করতে হবে, সে ব্যাপারে মায়েরা কতটা কম জানেন,'' জার্মান ডিপিএ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন শিশুদের যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত কমিশনের সদস্য ইওহান্নেস-ভিলহেম ব়্যোরিশ৷

মুখ খুলতে শেখা

বিভিন্ন জরিপ ও সাক্ষাৎকার থেকে যে তথ্য সংগৃহীত হয়েছে, শিশুদের যৌন নিপীড়ন রোধের পন্থা নির্ণয়ে তা সাহায্য করবে বলে কমিশনের আশা৷ যুগপৎ কমিশন গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আরো বেশি আর্থিক সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে৷

জার্মানি ও সাবেক পূর্ব জার্মানিতে শিশুদের যৌন নিপীড়নের যে নানা ধরনের পন্থা প্রচলিত ছিল, তার তদন্তের জন্য এই নিরপেক্ষ কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়৷ কমিশনের কাজ হলো, কী ধরনের পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় শিশুদের যৌন অপব্যবহারের পথ খুলে যায়, তা নির্ধারণ ও চিহ্নিত করা৷

আগামী বছর এই তদন্ত কমিশন খ্রিষ্টীয় গির্জা সম্প্রদায়গুলিতে শিশুদের যৌন নিপীড়ন ও সাবেক পূর্ব জার্মানিতে শিশুদের যৌন অপব্যবহার সম্পর্কে তাদের রিপোর্ট পেশ করবে৷

এসি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, ইপিডি, কেএনএ)