1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিশু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট

২০ মার্চ ২০১৪

শিশুদের নিয়ে করা একটি পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে জড়িত ১৪ ব্যক্তিকে আটকে সক্ষম হয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ ওয়েবসাইটটিতে ২৫১টি শিশুর আপত্তিকর ভিডিও ছিল, যাদের অধিকাংশই ছেলে৷

https://p.dw.com/p/1BSUV
Symbolbild Kinderpornographie im Internet
ছবি: AP Graphics

পরিচয় গোপন রেখে ব্যবহার উপযোগী ডার্কনেট-এর মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করা যেত৷ সাইটটির গ্রাহক সংখ্যা ছিল প্রায় ২৭ হাজারের মতো৷ মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিই টিম পর্নোগ্রাফিতে ভরা এই ওয়েবসাইটটি বন্ধের পাশাপাশি, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও ভুক্তভোগী অনেকের সঙ্গে যোগাযোগে সক্ষম হয়েছে৷

মার্কিন কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কেউ কেউ নারী সেজে অনলাইনে তিন থেকে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু, কিশোরদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো৷ ভুক্তভোগী শিশু, কিশোরদের মধ্যে মার্কিন নাগরিক ছাড়াও আরো পাঁচটি দেশের নাগরিক আছে৷ জানা গেছে, ঐ ২৫১ জনের মধ্যে ২৩ জনের অবস্থান যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং বেলজিয়ামে৷

এর আগে কখনোই একটিমাত্র শিশু শোষণ বিষয়ক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এতজন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, জানান আইসিই-র উপ পরিচালক ড্যানিয়েল ব়্যাগ্সডেল৷

সাইটটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত ১৪ জনের মধ্যে ১১ জনের বিরুদ্ধে লুজিয়ানার আদালতে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই পর্ন-সাইটটির ২৭ হাজার গ্রাহকের মধ্যেও অনেককে আলাদা আলাদা মামলায় আসামি করা হচ্ছে৷ তবে ঠিক কতজন বা আদৌ কোনো গ্রাহককে এর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কিনা, তা জানায়নি তদন্ত দলটি৷ আইসিই সাইবার ক্রাইম সেন্টারের প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস কিলপ্যাট্রিক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিদেশে অবস্থানরত আরো অন্তত ৩০০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে৷

প্রসঙ্গত, আলোচিত এই ওয়েবসাইটটির মূল নিয়ন্ত্রক জোনাথন জনসনকে গত বছরের জুন মাসে লুজিয়ানা থেকে আটকে সক্ষম হয় কর্তৃটক্ষ৷ বর্তমানে জোনাথন কারাবন্দি অবস্থায় আছে৷ শিশু পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট পরিচালনার দায়ে তার ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷ স্বাভিকভাবেই, জানসনকে গ্রেপ্তারের পর সাইটটি পুরোপুরি ‘অফলাইন' করার পাশাপাশি এর সঙ্গে জড়িতদের এবং ভুক্তভোগীদের শনাক্ত করা সহজ হয়ে যায়৷

উল্লেখ্য, ডার্কনেটকে অনেকে তুলনা করেন অন্ধকারাচ্ছন্ন অনলাইন আন্ডারওয়ার্ল্ডের সঙ্গে৷ এই নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অস্ত্র, ড্রাগ বা পর্নোগ্রাফি বিষয়ক বিভিন্ন অবৈধ ওয়েবসাইটে পরিচয় গোপন রেখে প্রবেশ সম্ভব বলে ধারণা করা হয়৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য