1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুধু অভিবাসীদের তৈলচিত্র এঁকে চলেছেন মারাস্তানি

২৮ জানুয়ারি ২০১১

জার্মান-সিরিয় বংশোদ্ভূত শিল্পী তারেক মারাস্তানি ছবি আঁকেন৷ তবে তাঁর ছবির বিষয় সবসময়ই অভিবাসী৷ বিদেশের মাটিতে অভিবাসীদের জীবন-যাপন, তাদের চলা-ফেরা তুলে ধরতে চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/106Me
অভিবাসীদেরই ছবি আঁকেন মারাস্তানিছবি: AP

জার্মানির অভিবাসী বিশেষ করে মুসলিম দেশ থেকে আসা মানুষদের জীবন-যাপনই মূলত তুলে ধরতে চান তারেক মারাস্তানি৷ এবং তা তিনি করেন তৈলচিত্রের মাধ্যমে৷ এর পাশাপাশি মুসলমানদের জার্মান সমাজে একাত্ম করা নিয়ে যে সব বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে – তাও তিনি তুলে ধরেছেন৷

তারেক মারাস্তানি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি পরিচিত নাম৷ নিজ দেশে এবং দেশের বাইরে তিনি বেশ জনপ্রিয়৷ তবে অভিবাসীদের দলের সবাই নয়, শুধুমাত্র তরুণ-তরুণীরাই তাঁর তুলিতে উঠে এসেছে৷

নিজের শিল্পকর্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘‘কেন আমি শুধু এধরণের ছবি আঁকি তা আমি আগেই বলেছি৷ আমার মনে হয় যে কোন দেশে যখন অনেক অভিবাসী থাকে তখন তরুণ প্রজন্মই এগিয়ে আসে দেশটিতে এবং অভিবাসীদের মধ্যে সেতু তৈরি করতে৷ জার্মানিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি৷ আমি চেষ্টা করেছি অত্যন্ত মানবিক এই সেতুকে তুলে ধরতে – যে কোন আলোচনাকে নয়৷''

প্রায় ১৫জন তরুণ উৎসাহিত করেছে ৬০ বছর বয়স্ক তারেককে৷ তবে তৈলচিত্রে দেখা গেছে প্রায় ৩০ জনকে৷ এরা কেউই কাল্পনিক চরিত্র নয়৷ সবাই বসবাস করছে বার্লিনে৷ এসব তরুণরাই দেশের ভবিষ্যৎ, জাতির আশা৷ একারণেই এদের বেছে নিয়েছেন মারাস্তানি৷ তবে যে কোন তরণকেই তিনি বেছে নেননি৷ তাঁর শর্ত ছিল প্রতিটি তরুণকে স্কুল ফাইনাল শেষ করতে হবে৷ দেশের রাজনীতি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে৷

হামবুর্গের অরিয়েন্ট ইন্সটিটিউটের পরিচালক উডো স্টাইনবাখ মারাস্তানির কাজের সঙ্গে পরিচিত৷ তিনি জানান,‘‘যে সব তরুণ আর কিছুদিনের মধ্যে স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে আরো দূর এগিয়ে যাবে তাদের সামনে আসছে বড় একটি চ্যালেঞ্জ৷ এটা তারা বেশ ভাল করেই জানে৷ বিশেষ করে বাভারিয়ার রাজ্য সরকার সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন – অভিবাসীরা কখনো আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির অংশ হতে পারবে না৷ পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য৷ আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি মানুষকে অন্তত নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ একবার দেওয়া উচিত৷''

চলতি বছরেই তারেক মারাস্তানির এই প্রদর্শনীর কাজ শেষ হবে৷ তৈলচিত্রগুলো দিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বার্লিনে৷ এর পাশাপাশি চলবে আলোচনা সভা৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়