1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, গোটা আফ্রিকা

১২ জুন ২০১০

সোয়েটোর সকার সিটি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ’দিন যেন গোটা মহাদেশটাকেই তুলে ধরা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/Np2g
বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১০ এর লোগো

হয়তো তারও বেশী৷ কেননা মাঠ-জোড়া নর্তক-নর্তকীরা যখন তাদের হাতে ধরা শালু জুড়ে জুড়ে আফ্রিকা মহাদেশের মানচিত্র তৈরী করল, তখন সেই মানচিত্রের উপর ছিল বহু পদচিহ্ন৷ এবং সেই পদচিহ্ন হল আদিমানবের আফ্রিকা ছেড়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ার প্রতীক৷

অথবা যখন কাঠের রঙিন সেকশন জুড়ে জুড়ে মাঠের মধ্যে বাওবাব গাছের মডেলটি সৃষ্টি করা হল, তখন তার গায়ে ছিল যে ছ'টি আফ্রিকান দেশ এই বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে, তাদের পতাকা ও রঙ৷ নাচের সময়েও ছ'টি দেশেরই নর্তক-নর্তকীদের দেখা গেছে৷ বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগের দিনের জলসা থেকেই এই তিন ধাপের চিন্তাধারা বর্তমান: দক্ষিণ আফ্রিকা, আফ্রিকা এবং বিশ্ব৷

NO FLASH WM Eröffnungsfeier
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানছবি: AP

যেমন অনুষ্ঠানের সূচনা এবং শেষে স্টেডিয়ামের উপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে জেট বিমানের ফর্মেশন: এর তাৎপর্য সামরিক নয়, এর তাৎপর্য দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্যের অবসান, তার সত্তা ও তার স্বাধীনতা৷ যা পূর্ণ হতো যদি নেলসন মান্ডেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পারতেন, পারিবারিক ট্র্যাজেডির ফলে যা সম্ভব হয়নি৷

দক্ষিণ আফ্রিকা নাচ-গান-মানুষ আর প্রতীক দিয়ে মাঠ ভরিয়ে বিশ্বের মানুষের মন ভরিয়েছে৷ সেরা প্রতীকটি ছিল, হাতি-সিংহ-গণ্ডারের মতো ‘বিগ ফাইভ'-এর কেউ না, বরং দীনদরিদ্র গুবরে পোকা, যে অদম্য উদ্যমে এবং অসীম অধ্যবসায়ে একটি ছোট্ট গোবরের বল পিছনের পা দিয়ে ঠেলে নিয়ে চলে৷ গতকাল স্টেডিয়ামে যেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতীক হয়ে একটি অতিকায় গুবরে পোকার মডেল একটি অতিকায় ফুটবলকে ঠেলে নিয়ে চলেছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই