1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শিক্ষার মান বাড়েনি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ মার্চ ২০১৪

বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানো হয়েছে৷ বিশ্বব্যাংকের প্রতিবদনে বলা হয়েছে, ভর্তির হার বাড়লেও কমছে শিক্ষার মান৷

https://p.dw.com/p/1BMdu
Bangladesch Schüler Schulkasse in Dhaka Prüfung
ছবি: picture-alliance/landov

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সরকারি প্রাধমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মূল বেতন হবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৬ হাজার ৪০০ টাকা (গ্রেড-১১) এবং প্রশিক্ষণবিহীনদের ৫ হাজার ৯০০ টাকা (গ্রেড-১২)৷ বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ৫ হাজার ৫০০ এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকেরা ৫ হাজার ২০০ টাকা পাচ্ছেন৷

সহকারী শিক্ষকদের নতুন বেতন স্কেল করা হয়েছে প্রশিক্ষণবিহীনদের ৪ হাজার ৭০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৯০০ (গ্রেড -১৫) এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ৪ হাজার ৯০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার ২০০ টাকা (গ্রেড-১৪)৷

আগের ৩৭ হাজার ৬৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নতুন সরকারি হওয়া প্রায় ২৩ হাজার বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাও এই সুবিধা পাবেন৷

এদিকে বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ‘সিডিং ফার্টাইল গ্রাউন্ড: এডুকেশন দ্যাট ওয়ার্কস ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিকে ছাত্র ভর্তির হার বাড়লেও শিক্ষার মান কমছে৷

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ‘সবার জন্য শিক্ষা' কার্যক্রম বাস্তবায়নে সফল হয়েছে৷ বিশেষ করে ২০১০ সালে প্রাথমিকে সামগ্রিক ভর্তির হার ৯৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০০০ সালে ৬৩ শতাংশ ছিল৷ পাশাপাশি মাধ্যমিকেও ২০১০ সালে ভর্তির হার ৯২ শতাংশে এসে ঠেকেছে৷ কিন্তু ২০০০ সালে তা ছিল ৫২ শতাংশ৷

তবে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বব্যাংক৷ শিক্ষার্থীদের ওপর পরিচালিত এক মূল্যায়ন জরিপের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চম শ্রেণির মাত্র ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর দক্ষতা রয়েছে বাংলা বিষয়ে এবং ৩৩ শতাংশের দক্ষতা রয়েছে গণিতে৷ প্রায় একই চিত্র অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে৷

এ নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের প্রধান রাশেদা কে চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ এশিয়ায় সর্বনিম্ন আর তার পাশাপাশি চলছে ব্যয়বহুল বেসরকারি শিক্ষা৷ ফলে শিক্ষার বৈষম্য বেড়েছে, কমেছে শিক্ষার মান৷ তিনি বলেন, শুধু শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে কাজ হবে না, শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারি শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়তে হবে৷ শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ এবং ছাত্রদের শিক্ষা উপকরণের পিছনে ব্যয় বাড়াতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য