1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শুরু হয়েছে ইইউ-রাশিয়া সম্মেলন

১ জুন ২০১০

অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রস্তোভ অন ডোন’এ শুরু হয়েছে ২৫তম ইইউ-রাশিয়া সম্মেলন৷ সম্মেলনে অর্থনীতি ছাড়াও ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/NeVE
সম্মেলনস্থলে ইইউ প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্টছবি: AP

ইতিমধ্যে সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ৷ সম্মেলন স্থলে ইইউ প্রেসিডেন্ট হেরমান ফন রম্পয়কে স্বাগত জানান রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ৷ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি উভয় পক্ষের সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন৷ মেদভেদেভ বলেন, ‘‘রাশিয়া এবং ইইউ - উভয়ের জন্য একটি বিশেষ মুহুর্তে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আমরা উভয়েই অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি৷''

তবে রাশিয়া এই আর্থিক সংকট এড়িয়ে যেতে পেরেছে বলেও দাবি করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ৷ তিনি জানান, এই আর্থিক সংকট ইইউ কিভাবে কাটাতে পারে, তার ওপর নজর রাখছেন তারা৷ উল্লেখ্য, গত বছর এই আর্থিক মন্দার কবলে পড়ে রাশিয়ার অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়ে গেছে৷ এছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও কমেছে বেশ, শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ৷ ইইউ'র হিসাব মতে, গত বছর উভয় পক্ষের বাণিজ্যের পরিমাণ ১০৫ বিলিয়ন ইউরো থেকে কমে গিয়ে ৬৬ বিলিয়ন ইউরোতে ঠেকেছে৷

Dmitri Medwedew und Jose Manuel Barroso
ইইউ কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো এবং রুশ প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভছবি: AP

এদিকে, ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের বিষয়টি অ্যাজেন্ডাতে স্থান পেলেও সেটা নিয়ে কতটুকু আলোচনা হবে - তা নিয়ে এখনও কিছুটা সন্দেহ রয়েছে৷ অনেকদিন ধরেই রাশিয়া ইউরোপের দেশগুলোতে ভিসামুক্ত প্রবেশের জন্য চেষ্টা করে আসছে৷ অন্যদিকে, একই দাবি ইইউভুক্ত দেশগুলোরও৷ তাই সম্মেলনের আগে এই ভিসা পদ্ধতি বাতিলের একটি সময়সীমা ঘোষণা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে রাশিয়া৷

উল্লেখ্য, গত দুই বছরে নানা ইস্যুতে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে ২০০৮ সালের অগাস্টে জর্জিয়া যুদ্ধ, রাশিয়াতে মানবাধিকার লংঘন এবং ইউরোপের দেশগুলোতে জ্বালানি সংকট তৈরি৷ তবে এসব কিছু পেছনে ফেলে উভয় পক্ষ নতুন করে পথচলা শুরু করবে বলে আশা করছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জোসে মানুয়েল বারোসো৷ তিনি বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর রাজনীতি এবং অর্থনীতির দিকে তাকালে স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে, ইইউ এবং রাশিয়াকে একসাথে চলতে হবে৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ