1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ আটে প্যারগুয়ে, বিদায় জাপান

৩০ জুন ২০১০

এটাই ছিল চলতি বিশ্বকাপের প্রথম টাইব্রেকার৷ আর এখানেই জিতে শেষ আটে পা রেখেছে প্যারাগুয়ে৷ প্রথমবারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো প্যারাগুয়ে৷ কিন্তু যদি বলা হয় তারা খুব ভালো খেলেছে, তা মোটেই ঠিক হবে না৷

https://p.dw.com/p/O6U2
বল নিয়ে যুদ্ধ প্যারাগুয়ে ও জাপানের তারকাদেরছবি: AP

আর জাপানের বিদায়টা এক কথায় বলা চলে বিশ্বকাপ থেকে এশিয়ারও বিদায়৷ উত্তর কোরিয়া প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল৷ দ্বিতীয় রাউন্ডে দক্ষিণ কোরিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করলো চেরি ফুলের দেশ৷

প্যারাগুয়ে ও জাপানের ম্যাচ নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলাটি ছিল গোলশূন্য৷ অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল আসেনি৷ ফলে ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে৷ পেনাল্টিতে প্যারাগুয়ের ৫ ফুটবলারই গোল করেন৷ জাপানের পক্ষে একমাত্র গোলটি মিস করেন ইউচি কোমানো৷ তাঁর শট ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়৷ পঞ্চম গোল করতে এসে ভুল করেননি প্যারাগুয়ের অস্কার কারডজো৷ তাঁর বল জালে জড়ানোর সাথে সাথেই আনন্দে মেতে ওঠে প্যারাগুয়ে৷ সজল চোখে বিদায় নেয় জাপান৷

প্রিটোরিয়ার ভার্সফেল্ড স্টেডিয়ামে হয় এই খেলা৷ ক্রীড়া সাংবাদিকদের মতে, কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি দুই দলই৷ খেলার ২০ মিনিটে প্যারাগুয়ে গোলের প্রথম সুযোগ পেয়েছিল৷ কিন্তু সেটি কাজে লাগাতে পারেনি৷ লুকাস ব্যারিওস এর শট গোলরক্ষক ইইজি কাওয়াসিমার পায়ে লেগে ফিরে আসে৷ জাপান পাল্টা আক্রমণ চালায় ২২ মিনিটে৷ প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দাইসুকে মাতসুইয়ের প্রচণ্ড শট ক্রসবারে লাগে৷ প্যারাগুয়ে ২৯ মিনিটে কর্নার থেকে আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল ৷ বক্সের ভিতর বল পেয়েও তা বাইরে পাঠান রোক সান্তাক্রুজ৷ খেলার ৪০ মিনিটে আবার জাপানের আক্রমণ৷ বক্সের বাইরে থেকে হোন্ডার তীব্র বাউন্স শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়