1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ মুহুর্তের গোলে ম্যাচ হারলো বায়ার্ন মিউনিখ

২১ মার্চ ২০১০

শেষ তিন মিনিটে দুই গোল হজম করে ফ্রাংকফুর্টের কাছে হেরে বসলো বুন্দেসলিগার শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখ৷ অপরদিকে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লুকাস বারিওসের দুই গোলের সুবাদে ডর্টমুন্ড হারিয়েছে আরেক বড় দল বেয়ার লেভারকুজেনকে৷

https://p.dw.com/p/MYN3
জয়সূচক গোলের পর ফ্রাংকফুর্টের মার্টিন ফেনিনের উল্লাসছবি: picture alliance/dpa

শনিবার ফ্রাংকফুর্টের বিরুদ্ধে স্পষ্টতই ফেভারিট ছিল লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা বায়ার্ন মিউনিখ৷ কারণ লিগে এর আগের ১৯টি ম্যাচে অপরাজিত লুই ফন গালের দল৷ মাত্র সাত মিনিটের মাথায় স্ট্রাইকার মিরোস্লাভ ক্লোসার গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন৷ তখন মনে হচ্ছিল সহজেই ম্যাচটি জিতে যাবে তারা৷ কিন্তু একের পর এক সুযোগ মিসের ফলে আর কোন গোলের দেখা পায়নি বায়ার্ন৷ তার ওপর খেলার ৮০ মিনিটের মাথায় বায়ার্নের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার ডানিয়েল ফন বুয়টেন চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন৷ ৮৩ মিনিটের সময় ফ্রাংকফুর্টের ১৯ বছর বয়সি তরুণ স্ট্রাইকার জুভেল টিসুমু মাঠে নামেন৷ উল্লেখ্য, এই ম্যাচেই তাঁর অভিষেক হয়েছে৷ মাত্র চার মিনিট পরেই টিসুমু গোল করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন৷ হতভম্ব বায়ার্নের খেলোয়াড়রা কিছু বোঝার আগেই দুই মিনিট পর অর্থাৎ ৮৯ মিনিটের মাথায় ফ্রাংকফুর্টের মার্টিন ফেনিন জয়সূচক গোলটি করে বসেন৷ খেলা শেষে বায়ার্ন কোচ লুই ফন গাল নিজ দলের খেলোয়াড়দের একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করাকেই দায়ী করেন৷ এদিকে আজ রোববার হামবুর্গের বিরুদ্ধে জয় পেলে শালকে বায়ার্নকে টপকে লিগের প্রথম জায়গাটি দখল করে নেবে৷

Bundesliga Borussia Dortmund - Bayer 04 Leverkusen
ড্টমুন্ড ও লেভারকুজেনের ম্যাচে চলছে বল দখলের লড়াইছবি: picture alliance/dpa

এদিকে শনিবার অপর ম্যাচে ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে বেয়ার লেভারকুজেনকে৷ ডর্টমুন্ডের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুকাস বারিয়স ৫০ ও ৬০ মিনিটের মাথায় দুটি গোল করেন৷ হ্যাট্রিকটি তিনি পেয়ে যেতেন যদি তাঁর জোরালো আরেকটি শট লেভারকুজেনের গোলরক্ষক রেনে আডলার না ঠেকিয়ে দিতেন৷ এবারের লিগে ১৬ টি গোল করেছেন লুকাস বারিয়স৷ ম্যাচে অপর গোলটি করেন ডিমিটার রানগেলভ ৮৭ মিনিটের মাথায়৷

অপর ম্যাচে স্টুটগার্ট ২-০ গোলে হারিয়েছে হ্যানোভারকে, ভেরডার ব্রেমেন ৩-২ গোলে হারিয়েছে বোখুমকে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই