1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শেষ মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে নিল বায়ার্ন মিউনিখ

৩১ মার্চ ২০১০

মঙ্গলবার রাতে মিউনিখে চ্যাম্পিয়নস লীগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দিয়েছে জার্মানির শীর্ষ দল বায়ার্ন মিউনিখ ২-১ গোলে৷ একেবারে শেষ মুহূর্তে অসাধারণ এক গোল করে ইভিৎসা অলিচ৷

https://p.dw.com/p/Miel
গোলের দিকেই যাচ্ছেন রিবেরিছবি: AP

দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর এই খেলা নিয়ে বেশ মাতামাতি ছিল গত কয়েকদিন ধরেই৷ তার উপর বাঘা বাঘা সব তারকারা ‘ফিট' থাকায় এবার অন্তত জেতার আশা করেছিলেন ম্যানইউ'র ম্যানেজার এ্যালেক্স ফার্গুসন৷ কিন্তু কোথায় কি? বায়ার্নের স্ট্রাইকার ইভিচা অলিচ শেষ বেলায় ঠান্ডা মাথায় জয়সূচক গোলটি করে জয় করে নিয়েছে বায়ার্ন ভক্তদের হৃদয়৷

অবশ্য শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিল ম্যানইউ৷ ৬২ সেকেণ্ডের মাথায় ফ্রি কিক থেকে প্রথম গোল করেন দলের তারকা ওয়েন রুনি৷ তারপর প্রথমার্ধে বার তিনেক গোলশোধের সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন৷ কিন্তু হলগার বাডস্টুবারের কর্নার কিকটিকে গোলপোস্টের উপরের জালে ফেলতে পেরিছেলেন মার্টিন ডেমিকেলিস৷ ফলে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথমার্ধ মোটামুটি দখলেই রেখেছিল ম্যানইউ৷

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে পাল্টে গেল খেলা৷ ৭৭ মিনিটে গ্যারি নেভেল হ্যান্ডবল করায় ফ্রি কিক পায় বায়ার্ন৷ বায়ার্ন যোদ্ধা ফ্রাঙ্ক রিবেরি কিক করা বল রুনির পায়ে লেগে ঢুকে পড়ে ম্যানইউ'র গোলে৷ এরপর অবশ্য সবাই ধরে নিয়েছিল এবার বুঝি ড্র-র মুখ দেখবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড৷ কিন্তু তাও তাদের কপালে জুটলো না৷

বরং ইনজিউরি টাইমে বায়ার্নের ইভিচা অলিচের ঠান্ডা মাথার গোল ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি করলো, মানে জিতিয়ে দিল বায়ার্নকে৷

স্বভাবতই এমন জয়ে প্রচন্ড আনন্দিত বায়ার্ন কোচ লুইস ফ্যান গাল৷ বললেন, দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর যোদ্ধারা অসাধারণ খেলেছে৷ আর তাই এই জয়কে তিনি আখ্যা দিলেন ‘মিষ্টি' জয়!

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী