1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শোক দিবসে কেক কাটছেন না খালেদা জিয়া

১৫ আগস্ট ২০১৬

এবার শোকের আবহেই পালন করা হচ্ছে জাতীয় শোক দিবস৷ কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হত্যার দিনেই নিজের জন্মদিন উদযাপন করে আসছিলেন খালেদা জিয়া৷ তবে এবার ব্যতিক্রম৷

https://p.dw.com/p/1JiSG
Sheik Mujibur Rahman
ছবি: AP

ফিরে এসেছে শোকের দিন ১৫ই আগস্ট৷ বরাবরের মতো আবারও যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গেই পালিত হচ্ছে ‘জাতির জনক' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী৷ ১৯৭৫ সালে এই দিনেই বিশেষত সামরিক বাহিনী থেকে বহিষ্কৃত কতিপয় জুনিয়র সামরিক কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নারী, শিশুসহ প্রায় সবাইকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়৷ জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে দিনটিকে উল্লেখ করা হচ্ছে জাতির জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন হিসেবে৷

জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ বিশেষ আনুষ্ঠানিকতাগুলোও উঠে আসছে সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল, বেতার ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের খবরে৷

শোকের দিনে নানাভাবে স্মরণ করা হচ্ছে, শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে৷ বঙ্গবন্ধুর খুব উল্লেখযোগ্য কিছু ছবির সঙ্কলন ভিডিওতে প্রকাশ করেছে দৈনিক প্রথম আলো৷

১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার চার বছর পূর্তিরও আগে কেন, কীভাবে এবং কারা বাংলাদেশের স্থপতিকে হত্যা করেছিল- এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে৷ মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারভিত্তিক তথ্যপূর্ণ এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড আকস্মিক কোনো ঘটনা ছিল না, দেশের এবং দেশের বাইরের বিশেষ একটি মহলের ঘোরতর চক্রান্ত কাজ করেছে এর পেছনে৷ হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ সম্পৃক্ততার বিষয়টিও উঠে এসেছে প্রতিবেদনে৷ টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রতিবেদনে আরো দাবি করা হয়েছে, ৪১ বছর আগে বাংলাদেশকে ‘ইসলামিক রিপাবলিক' করার উদ্দেশ্যেই হত্যা করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে৷

বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রতিবেদন৷

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি'র বিরোধ ১৫ই আগস্টেও ফুটে ওঠে প্রকটভাবে৷ বিশেষ করে জাতীয় শোক দিবসে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া'র কেক কেটে জন্মদিন উদযাপনের বিষয়টি বিরোধে যোগ করে বিশেষ মাত্রা৷ তবে এবার আর শোকের দিনে জন্মদিন পালন করে বিতর্কে জড়াননি খালেদা জিয়া৷ এই ১৫ই আগস্টে চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতায় যায়নি বিএনপি৷ দলটির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশের ‘চলমান সংকট, বন্যা পরিস্থিতি ও দলের ‘নেতাকর্মীদের জেল-গুম-খুন'-এর কারণে খালেদা জিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী

সম্পাদনা: অমৃতা পারভেজ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য