1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের তদন্তের জন্য চাপ বাড়ছে

২৬ এপ্রিল ২০১১

শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সম্পর্কে যে অভিযোগ উঠেছে, জাতিসংঘের এক রিপোর্টে তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রস্তাব রাখা হয়েছে৷ কিন্তু মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই৷

https://p.dw.com/p/113sF
শ্রীলঙ্কার এলটিটিইর সদস্যরা (ফাইল ফটো)ছবি: AP

২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তামিল বিদ্রোহীদের নির্মূল করতে শ্রীলঙ্কার সরকার দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত তামিল টাইগারদের চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে৷ কিন্তু সেই সংঘাতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল বলে অসংখ্য অভিযোগ উঠেছিল৷ সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে জাতিসংঘের প্যানেল এই সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রস্তাব রেখেছে৷ প্রায় ২০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু সরকার নয়, তামিল বিদ্রোহীরাও যুদ্ধাপরাধের জন্য সমানভাবে দায়ী৷ আন্তর্জাতিক স্তরে নিরপেক্ষ এক কাঠামোর আওতায় সেই যুদ্ধাপরাধের তদন্ত হওয়া উচিত বলে প্যানেল মনে করে৷

সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টকে কেন্দ্র করে খোদ জাতিসংঘের মধ্যেই বিতর্ক দানা বাঁধছে৷ মহাসচিব বান কি মুন বলছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এমন কোনো তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন না৷

সদস্য দেশগুলিকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং এক্ষেত্রে অবশ্যই শ্রীলঙ্কার সরকারের সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে৷ নিরাপত্তা পরিষদ, সাধারণ পরিষদ, মানবাধিকার পরিষদ বা অন্য কোনো সভায় এই উদ্যোগ নিতে হবে৷ তার পরেই বান এমন তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন৷ আপাতত তিনি সরাসরি শ্রীলঙ্কার সরকারের উদ্দেশ্যে ‘আন্তরিকভাবে তদন্ত' করার আবেদন জানিয়েছেন৷

সমালোচকরা বলছেন, প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এগোলে এমন এক তদন্তের সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ হয়ে যাবে৷ প্রথমত, কলম্বো সরকার কখনোই স্বেচ্ছায় এমন তদন্তে সম্মতি জানাবে না৷ নিরাপত্তা পরিষদ কোনো উদ্যোগ নিলে রাশিয়া ও চীন ভেটো প্রয়োগ করতে পারে৷ তাছাড়া শ্রীলঙ্কা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতেরও সদস্য নয়৷ পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভারতও এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করবে৷ এপর্যন্ত মাত্র দু'টি ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যতিক্রমি উদ্যোগ দেখিয়েছে৷ সদস্য দেশগুলি সুদানের দারফুর অঞ্চলে সংকট এবং লিবিয়ায় বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযানের ক্ষেত্রে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে৷

‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ' গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ফিলিপ বোলোপিয়ন বান কি মুনের মনোভাবের সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর মতে, চীন ও রাশিয়া এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন না করলেও বাকিরা অবশ্যই এমন তদন্তে সমর্থন জানাবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার