1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সংঘাতের পথে চলেছে দেশের রাজনীতি’

২৫ মে ২০১১

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদকদের লেখনীতে ঠিক ঐ শঙ্কাটাই ফুটে উঠেছে৷ একদিকে সংবিধান সংশোধন নিয়ে ঘরে-বাইরে বিরোধ৷ অন্যদিকে বিরোধীপক্ষের আন্দোলনের হুমকি৷

https://p.dw.com/p/11NXd
আবার সংঘাতের রাজনীতির দিকে এগোচ্ছে দেশছবি: AP

সংবিধান সংশোধন নিয়ে আওয়ামী লীগ এখন সর্বত্র চাপের মুখে৷ মহাজোটের শরিকদের মধ্যে মতবিরোধের বিবরণ আছে প্রায় সব পত্রিকায়৷ উপলক্ষ হল, মহাজোটের শরিক এগারো দলীয় জোটের পাঁচটি দলের প্রতিনিধিরা সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও মহাজোটের সমন্বয়ক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে যে চিঠিটা দিয়েছেন৷ ইত্তেফাকের বিবরণ অনুযায়ী চিঠির বক্তব্য হল, ধর্মযুক্ত সংবিধান নয়, বাহাত্তরের মূল সংবিধানে ফিরে যেতে হবে৷ গোঁজামিলের বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরার চেষ্টা তারা কোনোভাবেই মানবেন না৷

ওদিকে বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাগরপার থেকেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি তুলেছেন৷ সেই সঙ্গে আন্দোলনের হুমকি৷ কিন্তু সে হুমকিকে আমলে নিচ্ছে না সরকার ও আওয়ামী লীগ, বলে মন্তব্য করেছে প্রথম আলো৷ সরকারদলীয় নীতিনির্ধারকরা নাকি মনে করেন, বিএনপি দলীয় নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করতেই এ' ধরণের কথাবার্তা বলা হচ্ছে৷ নয়তো আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবিকে ‘মধ্যবর্তী রসিকতা' বলে অভিহিত করেছেন৷ কিন্তু ভোরের কাগজের পর্যবেক্ষণ হল: এ'সবই হল দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের জন্য অশনি সংকেত৷ সংঘাতের পথেই ধাবিত হচ্ছে রাজনীতি৷

আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১২তম জন্মজয়ন্তী৷ গণমাধ্যমে সাড়াও তুমুল৷ তিনি একাধারে বিদ্রোহী এবং গানের বুলবুল, এটা শুধু প্রথম আলোর অনুভূতিই নয়৷ রবীন্দ্র বিশালত্বের পাশেই তিনি তাঁর নিজের স্থান করে নিয়েছিলেন, নিজের ভুবন গড়ে নিয়েছিলেন, তা কি শব্দ ও ভাষারীতিতে, কি গানে৷ তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা এসেছে বারবার৷ সমকালের প্রতিবেদনে আবার ফিরে যাওয়া হয়েছে সেই ‘বাঁকা বাঁশের বাঁশরী' আর ‘রণ-তুর্যের' ‘বিস্ময়কর দ্বৈতসত্তায়'৷

কিন্তু ক্ষোভ কি ক্ষেদের যে কোনো কারণ নেই, এমন নয়৷ কালের কণ্ঠের শিরোনাম হল: ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে অবহেলিত জাতীয় কবি'৷ নজরুল জাদুঘর পড়ে আছে অন্তরালে৷ প্রকাশিত হয়নি পূর্ণাঙ্গ জীবনী৷ অনির্মিত রয়েছে তথ্যচিত্র৷ নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুল অনেকটাই অচেনা, অজানা - লিখছে পত্রিকাটি৷

এবং সেটা তো আমাদেরই কাজ৷

গ্রন্থনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা