1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের সমালোচনা করলেন মুন

৩০ এপ্রিল ২০১০

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/NBAc
ছবি: AP

আগামী ৩ মে বিশ্ব স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব এই মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, অনেক দেশে সরকার নিউজপ্রিন্টের উপর উচ্চ কর নির্ধারণ করে থাকে৷ ফলে সংবাদপত্রের দাম বেড়ে গিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়৷ এছাড়া রাজনৈতিক কারণে কখনো কখনো বিভিন্ন দেশে ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয়া হয়৷

জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ছোট স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের মেরে ফেলার ঘটনাও ঘটে৷ তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা দেয়া সব সরকারেরই দায়িত্ব৷

এবারের বিশ্ব স্বাধীন সংবাদমাধ্যম দিবসের মূল থিম হলো ‘‘তথ্যের স্বাধীনতা: জানার অধিকার''৷

এদিকে ওয়াশিংটন ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রিডম হাউস বৃহস্পতিবার একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ ঐ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সালে টানা আটবারের মতো সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হ্রাস পেয়েছে৷ ২০০৯ সালে বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বাধা পেয়েছে৷ তবে দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে৷ বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভুটানে উন্নতি ঘটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে৷

সাব-সাহারা আফ্রিকা অর্থাৎ সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে অবস্থিত আফ্রিকান দেশগুলিতে, লাতিন আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে প্রকাশ৷ নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা ‘মুক্ত' থেকে ‘আংশিক মুক্ত' অবস্থায় নেমে গেছে৷ মেক্সিকো, ফিলিপাইন্স ও সেনেগালে স্বাধীনতা ‘উদ্বেগজনক হারে হ্রাস' পেয়েছে৷

ফ্রিডম হাউস-এর মতে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে নীচের দিকের দেশগুলো হলো বেলারুস, মিয়ানমার, কিউবা, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, ইরান, লিবিয়া, উত্তর কোরিয়া, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তান৷

প্রতিবেদক : জাহিদুল হক

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক