সংসদের অচলাবস্থা কাটাতে সর্বদলীয় বৈঠক আবারও ব্যর্থ
২২ নভেম্বর ২০১০টু-জি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারির তদন্তে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের দাবি থেকে এক চুলও সরতে রাজি নয় বিরোধী পক্ষ৷ হয় যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে না হলে সংসদ অচল করে রাখা হবে৷ অচলাবস্থা কাটাতে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় আবারও ডাকেন সর্বদলীয় বৈঠক৷ কিন্ত এক ঘন্টার এই বৈঠকে ফল হয়নি৷ বিরোধী পক্ষ সরকারের প্রস্তাব খারিজ করে দেন৷ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথায় সরকারের প্রস্তাব ছিল, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি সংক্ষেপে পিএসির সঙ্গে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থাগুলির পদস্থ অফিসারদের নিয়ে গঠিত একটি দলকে যুক্ত করার৷এই দল দুর্নীতির তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন পিএসিকে৷ পিএসি সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন৷ এই পিএসির নেতৃত্বে আছেন বিজেপির প্রবীণ নেতা ড: মুরলীমনোহর যোশী৷
এই প্রস্তাব সরাসরি খারিজ করে বিজেপি নেতা তরুণ বিজয় বলেন, টু-জি স্পেকট্রাম ও কমনওয়েলথ গেমস নিয়ে দেশে যে বিশাল কেলেঙ্কারি হয়েছে, তা থেকে দৃষ্টি সরাতে সরকার অন্য ইস্যু তোলার চেষ্টা করছে,তা হতে দেবনা৷ কেন্দ্রে যেসব দুর্নীতিবাজ নেতা আছেন তাঁদের বিরুদ্ধে জেপিসি বসাতে হবে৷সিপিআই নেতা গুরুদাস দাসগুপ্তের প্রতিক্রিয়া, জেপিসি ছাড়া অন্য কিছু মানবো না৷ এই কেলেঙ্কারি ছায়া ফেলেছে প্রধানমন্ত্রীর ওপরও৷
এর আগে সোমবার সংসদের অধিবেশন বসলে সরকার ও বিরোধীপক্ষের সদস্যরা যুদ্ধং দেহি মূর্তিতে অধ্যক্ষের আসনের সামনে জড়ো হয়ে শ্লোগান ও পাল্টা শ্লোগান দিতে থাকেন৷ কংগ্রেস সাংসদরা কর্নাটক জমি কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করেন৷ বিজেপি নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিলেও তিনি এখনও পর্যন্ত পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করা হয় দিল্লিতে৷ তিনি সমবারই এসে পৌঁছন দিল্লিতে৷ পর্যবেক্ষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলে কংগ্রেসের ওপর অনেক বেশি চাপ বাড়াতে পারবে বিজেপি৷কংগ্রেসের পাল্টা যুক্তি, বিজেপি জোট সরকারের আমলে তেহেলকা কান্ডে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী কী জেপিসি গঠনে রাজি হয়েছিলেন ? হননি৷ মোটকথা, সংসদে অচলাবস্থা এইভাবে চলতে থাকলে শীতকালীন অধিবেশন অনিদ্দির্ষ্টকালের জন্য মুলতুবি রাখা হতে পারে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক