1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্রেক্সিটের জন্য সংসদের অনুমোদন প্রয়োজন

২৫ জানুয়ারি ২০১৭

আট-তিন ভোটে রায় দিলো ব্রিটেনের সর্বোচ্চ আদালত: সংসদের অনুমোদন ছাড়া লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া বিধিসম্মত ভাবে চালু করা যাবে না৷ তবে স্কটল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড বা ওয়েলশ সংসদের অনুমোদন লাগবে না৷

https://p.dw.com/p/2WKfz
প্রতীকী ছবি
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Jones

গত ডিসেম্বর মাসে চার দিন ধরে শুনানি চলে; শোনেন সুপ্রিম কোর্টের সব ১১ জন বিচারক৷ তাঁদের রায় কিন্তু গত জুন মাসের ব্রেক্সিট গণভোটের ফলাফলকে বদলে দিতে পারেবে না, যে গণভোটে ৫২ শতাংশ ভোটার ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের পক্ষে ভোট দেন৷

সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরনোর পর ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস পার্লামেন্টে বলেন যে, শীঘ্রই সংসদে যতদূর সম্ভব ‘‘সোজাসুজি'' একটি বিল পেশ করা হবে৷ ডেভিস সাংসদদের প্রতি বিলটিকে ‘‘সময়মতো'' পাশ করানোর ও ‘‘জনতার ইচ্ছাকে খর্ব'' না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি মার্চ মাসের মধ্যেই লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা অনুযায়ী ইইউ ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান৷ সেই সময়সূচি বজায় থাকছে, বলে ডেভিস জানান৷

অপরদিকে ব্রিটিশ সরকারকে স্কটল্যান্ড, উত্তর আায়ারল্যান্ড বা ওয়েলস-এর ‘‘ডিভল্ভড'' বা দায়িত্ব হস্তান্তরের মাধ্যমে সৃষ্ট সংসদগুলির অনুমোদন নিতে হবে না, বলে সুপ্রিম কোর্ট প্রধান লর্ড ডেভিড নয়বার্গার জানিয়েছেন৷ স্কটল্যান্ডের ‘ফার্স্ট মিনিস্টার' নিকোলা স্টার্জন কোর্টের এই সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ হয়েছেন, বলে মন্তব্য করেন৷

ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যে দুই বাদী এই মামলা এনেছিলেন, তারা হলেন ডায়ার তোজেত্তি ডন সান্টোস নামের এক হেয়ারড্রেসার ও জিনা মিলার নামের এক ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার৷ মামলা দায়ের করার পর ডস সান্টোসকে এমনই কুকথা শুনতে হয়েছে যে, তিনি আত্মগোপন করে রয়েছেন৷ অপরদিকে মিলার বলেছেন, তাঁকে যে পরিমাণ ব্যক্তিগত গালিগালাজ সহ্য করতে হয়েছে, তাতে স্তম্ভিত তিনি৷ মিলার ব্রেক্সিটকে ‘‘একটি প্রজন্মের সবচেয়ে বিভেদসৃষ্টিকারী বিষয়'' বলে অভিহিত করেছেন৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান