1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদে ফেরা যাবে না এখন: খালেদা

১০ নভেম্বর ২০১০

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বিরোধী নেত্রী জানালেন, সংসদে ফেরার মত পরিবেশ তৈরি হয়নি৷ এদিকে ঈদের বোনাস নতুন বেতন কাঠামোয় মিলবে না বলে জানিয়ে দিল বিজিএমইএ৷ আজকের পত্রপত্রিকার খবর৷

https://p.dw.com/p/Q3PC
খালেদা জিয়া, বাংলাদেশ,সংসদ, বিএনপি, মার্কিন, অ্যামেরিকা, রাষ্ট্রদূত,USA, Bangladesh, US Ambassafor, Khaleda Zia, Bangladesh
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করলেন খালেদা জিয়া (ফাইল ছবি)ছবি: Mustafiz Mamun

‘সংসদে ফেরার মত পরিবেশ তৈরি হয়নি', বললেন খালেদা

সংসদে বিরোধী দলের ফেরার পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টিকে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া৷ মরিয়ার্টি মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে গিয়ে খালেদার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ দুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত৷ বৈঠকের পর জেমস এফ মরিয়ার্টি সাংবাদিকদের বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন, সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের এক সঙ্গে কাজ করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন৷ আগামীতে সংসদে তিনি তাঁর ভূমিকা রাখবেন৷ সংসদ কার্যকর করতে সরকার ও বিরোধী দলের এক সঙ্গে কাজ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত৷ সন্ধ্যা ৭টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে খালেদা আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও দ্বি-পাক্ষিক বিষয় নিয়ে মরিয়ার্টির সঙ্গে আলোচনা করেন৷

ঈদের বোনাস পুরানো বেতন কাঠামোতেই

চলতি নভেম্বর মাস থেকে শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের কথা থাকলেও নতুন কাঠামো মেনে এই ঈদের বোনাস দেওয়া হবে না বলে জানালেন পোশাক শিল্প মালিকরা৷ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেন, নভেম্বর থেকে পোশাক শ্রমিকদের নতুন বেতন কাঠামো চালুর কথা রয়েছে৷ সে অনুযায়ী ডিসেম্বর মাসেই নতুন কাঠামো অনুসরণ করে নভেম্বর মাসের বেতন ও অন্যান্য পাওনা পাবেন শ্রমিকরা৷ তবে বিদ্যমান পুরনো বেতন কাঠামোতেই যাবতীয় পাওনা পাবে আসন্ন ঈদে, বলেন মুর্শেদী৷ পোশাক শ্রমিকরা নতুন কাঠামোয় আসন্ন ঈদুল আজহার বোনাস দাবি করে আসছে৷ এ নিয়ে গাজীপুরের কয়েকটি কারখানায় গত এক সপ্তাহে বিক্ষোভ-ভাঙচুর হয়৷

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি

দৈনিক কালের কন্ঠ তাদের বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দুর্নীতির খবর ছেপেছে৷ বলা হয়েছে, রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর-এ দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা পদ বা কর পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছেন ৯৩ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী৷ অথচ তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি নিয়োগ বিধিমালা৷ অনুমোদন নেওয়া হয়নি পাবলিক সার্ভিস কমিশনেরও (পিএসসি)৷ নিয়োগসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে অস্থায়ী ভিত্তিতে চলতি দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে কৌশলে এসব নিয়োগকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছে কর্তৃপক্ষ৷ অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়োগের পেছনে অন্তত দুই কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে৷ এই অবৈধ নিয়োগের পর প্রায় পাঁচ মাস চলে গেলেও এসব পদে স্থায়ী নিয়োগের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ফাঁস হয়ে যায় কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য৷ কর পরিদর্শক পদের চলতি দায়িত্বে রেখেই কর্মচারীদের অবসরোত্তর ছুটি পর্যন্ত টেনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে৷

গ্রন্থনা : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা