1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদ থেকে মুবারকের তৈলচিত্র সরে গেল ধীরে ধীরে

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মিশরের তিন দশকের একনায়ক হোসনি মুবারকের বিদায়ের পর ৭২ ঘণ্টাও কাটেনি৷ দেশ থেকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের পদচিহ্ন মুছে ফেলতে তৎপর সেনাবাহিনী সংসদ ভেঙে দিল৷ মুবারক পন্থীরা অথৈ জলে৷

https://p.dw.com/p/10Ghc
একনায়কতন্ত্রের নির্মম সমাপনছবি: AP

রাতারাতি পরিবর্তন, সরে গেল মুবারকের তৈলচিত্র

নির্বাচন হবে ঘোষণামতই আগামী সেপ্টেম্বরে৷ কিন্তু তার আগেই মিশরের ছবিতে এটা স্পষ্ট যে শাসনক্ষমতার দখল নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী৷ সংসদ ভেঙে দিয়ে তারা একটা আমূল পরিবর্তন এনে দিয়েছে রাতারাতি!

প্রত্যাশা যা ছিল, তাই ঘটেছে

বস্তুত এই পরিবর্তন প্রত্যাশিতই ছিল৷ দু'দিন আগে আর দু'দিন পরে৷ পদত্যাগ করার সময় সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে যে চাল চেলেছিলেন, ত্রিশ বছরের একনায়ক, ঘাগু রাজনীতিবিদ মুবারক, প্রেসিডেন্টের সেই চাল থেকেই শিক্ষা নিল সেনাবাহিনী৷ মুবারকের দলবল বলে যারা পরিচিত, এতদিনের সেইসব ক্ষমতা দখলকারী মৌচাকও সেই সঙ্গে ভেঙে চুরমার৷ টিভির পর্দায় সবচেয়ে উপভোগ্য দৃশ্য ছিল, সংসদের প্রধান কক্ষ থেকে কেমন ধীরে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে হোসনি মুবারকের বিশাল তৈলচিত্র৷ তার সামনে নির্বিকার ভঙ্গিতে মোবাইলে কথা বলে চলেছেন এক বিশাল চেহারার নিরাপত্তারক্ষী৷ কোথাও কোনরকম আপত্তি বা ক্ষোভের চিহ্ন নেই৷ এই প্রতীকী দৃশ্যই চমৎকার করে বুঝিয়ে দিচ্ছে মিশরের ভবিষ্যৎ৷ সেইসঙ্গে বদলাতে চলেছে দেশের সংবিধান৷

NO FLASH Ägypten Kairo Proteste
‘বিপ্লব স্পন্দিত বুকে আমিই লেনিন’- কবি সুকান্তের তরুণ বিপ্লবের স্বপ্ন সফল হয়েছে মিশরে৷ছবি: picture-alliance/dpa

আসল দায়িত্ব কিন্তু সেই তরুণদের কাঁধেই

সংবিধান বদলালে তো পুরো রাজনৈতিক ছবিটাই বদলে যাবে৷ কারণটাও স্পষ্ট৷ যে সংবিধানের বলে বলীয়ান হয়ে এত বছর একনায়কতন্ত্র চালিয়ে গেছেন মুবারক, একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থাকে কায়েম করে রেখে দিয়ে, সেটার প্রভাব ঘুচলেই বহুদল আসবে মিশরে৷ সঠিক গণতন্ত্র যা চায়, সেটাই৷ সেটাই চায় তরুণ মিশর৷ তারা গণভোটের দাবি তুলেছে৷ যা হবে খসড়া সংবিধানকে ঘিরে৷ তারপরেই বহুদলের নির্বাচনের মাধ্যমে বহুমতের সরকার৷ যাতে কোন একনায়কতন্ত্র আর কোনদিন পুষ্টি পাবে না৷ তবে তার জন্য এখনও বহু পথ চলা বাকি৷ সবচেয়ে বড় কথা, একটা সামগ্রিক বোঝাপড়ায় তাদের আসতে হবে৷ বিক্ষোভকারীদের একাংশের সঙ্গে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর যে খণ্ডযুদ্ধের ছবি রবিবার সারাদিন টিভির পর্দায় দুনিয়াজুড়ে ভেসে বেড়িয়েছে, সেটা তেমন সম্মানজনক নয়৷ নিজের দায়িত্ব একা নিজের কাঁধে নিতে গেলে কাঁধটাকে আগে শক্ত করতে হয়৷ তারপরে লাগে মনোবল৷ এই দুটো বিষয়কে বুঝতে হবে তরুণ মিশরের রূপকারদের৷ তা নাহলে সমূহ ক্ষতি৷ কারণ, রক্তপাতহীন বিপ্লবের মাধ্যমে যে দেশকে তারা আজ হাতে পেয়েছে, সে দেশটি কিন্তু সবেমাত্র জন্ম নিল৷ তার রক্ষণাবেক্ষণে যত্নের অভাব হলে ভবিষ্যতে ক্ষতির মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যাবে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান