1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদ রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

সুশীল সমাজ মনে করে সংসদ বহাল রেখে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়৷ নির্বাচনের সময় সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে৷ আর নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে যে সংকট চলছে তা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/19hXn
ছবি: picture-alliance/Dinodia Photo

বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমন ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ তাই ২৪ অক্টোবর ৯ম জাতীয় সংসদের অধিবেশন শেষ হলেও সংসদ সদস্যরা বহাল থাকবেন৷ তাঁরা পাবেন সব সুযোগ-সুবিধা, পদে থেকেই নির্বাচনে অংশ নেবেন তাঁরা৷

কিন্তু সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এর বিরোধিতা করেছেন৷ ঢাকায় এক সেমিনারে তাঁরা বলেছেন সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে না৷ নির্বাচনের সময় সবার জন্য সমান সুবিধা নিশ্চিতের যে নীতি তা কার্যকর করা যাবে না৷ সেমিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থেকে তাঁদের কথা বলেন৷

Muhammad Sakhawat
কেউ বাঘের পিঠে চড়লে আর নামতে চান না: এম সাখাওয়াত হোসেনছবি: DW/Samir Kumar Dey

সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন৷ তিনি বলেন নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে এখন রাজনৈতিক সংকট চলছে৷ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে৷ একতরফা নির্বাচন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না৷

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন প্রশাসনকে দলীয়করণের ব্যাপারে দুই দলের বিরুদ্ধেই সমান অভিযোগ আছে৷ তাই দলীয় কোনো সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে প্রশাসন যে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে না, তা বুঝতে কারোর অসুবিধা হওয়ার কথা নয়৷ আর সংসদ সদস্যরা তাঁদের পদে বহাল থেকে নির্বাচন করলে তাঁদের প্রভাব থাকবেই৷

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন কেউ বাঘের পিঠে চড়লে আর নামতে চান না৷ কারণ এতদিন তিনি রক্ত খেয়েছেন, এখন নামলেইতো বাঘে তার রক্ত খাবে৷ আর এই পরিস্থিতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে কেউ তার সমাধানের পথ দেখালে বা সমাধানের কথা বললে তাতে নাকি বিভ্রান্তি ছড়ান হয়৷ তিনি বলেন তবুও বলতে হবে৷ তাঁর মতে নির্বাচনি আইনের আরো সংস্কার প্রয়োজন৷ আর নির্বাচন করতে হবে সংসদ ভেঙে দিয়ে৷

বক্তারা বলেন, প্রতি নির্বাচনের আগেই দেশে একটি সংকট তৈরি হয়৷ সৃষ্টি হয় সাংঘর্ষিক পরিবেশের৷ এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন৷ তাই নির্বাচন কমিশনকে যেমন স্বাধীন এবং শক্তিশালী করা প্রয়োজন তেমনি নির্বাচন ব্যবস্থার একটি স্থায়ী কাঠামো প্রয়োজন৷ এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতায় এসে একটি পথ বের করার আহ্বান জানান তাঁরা৷ নয়তো প্রতি নির্বাচনের আগেই দেশে সংঘাত, সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠবে বলে তাঁদের অভিমত৷

এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: দীপুমনি বলেছেন নির্বাচন হবে সংবিধানের আলোকে৷ সরকারের মেয়াদের শেষ তিন মাসে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার৷ সংবিধান অনুযায়ী তাতে সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য