1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংহতি ও উন্নয়নের অঙ্গীকার রাজাপাকসের

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

তিন দশকের গৃহযুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক সংহতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অঙ্গীকার করেছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে৷ তিনি বলেছেন, জাতিগত সংহতি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে এমন কোনো চাপের নতি স্বীকার নয়৷

https://p.dw.com/p/Lsww
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেছবি: AP

গৃহযুদ্ধ অবসানের পর প্রথম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার ৬২তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে মহা জাঁকজমকের সঙ্গে৷ প্রাচীন সিংহলী রাজ্যের বৌদ্ধ রাজধানী উত্তরাঞ্চলের ক্যান্ডি শহরে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানমালার মূল আয়োজনে ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে৷

তামিল টাইগারদের সঙ্গে গৃহযুদ্ধ জেতার পর গত সপ্তাহের ভোটযুদ্ধে জয়ী রাজাপাকসে বেশ আত্মবিশ্বাসী ও তেজোদীপ্ত কণ্ঠে বললেন, ‘নতুন এই মেয়াদকে আমি ৩০ বছরের যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার দায়িত্ব হিসেবে দেখছি৷'

প্রেসিডেন্ট হিসেবে আরও ছয় বছরের জন্য সদ্য পুনর্নির্বাচিত রাজপাকসে বলেন, ‘বিভক্ত এই ভুখণ্ডকে একত্রিত করার পর এখানকার সব জাতিসত্ত্বার মন ও মানসকে একত্রিত করার একটা দায়িত্ব আমার ওপর বর্তেছে৷'

তবে, সিংহলী জাতিসত্ত্বার এই নেতা একসময়ের মিত্র ‘লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম' বা ‘এলটিটিই' বিরোধী যুদ্ধের সাবেক সেনাপতিকে ভোটযুদ্ধে পরাজিত করতে সক্ষম হলেও তামিলদের মন জয়ে যে তিনি এখন পর্যন্ত বিশেষ কিছুই করতে পারেন নি সেটা স্পষ্ট৷ নির্বাচনে তামিল সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোতেই সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন রাজাপাকসে৷

জেনারেল শরৎ ফনসেকার পরাজয় সত্ত্বেও বিরোধী রাজনৈতিক শিবির তার সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে৷ সাংবাদিক নির্যাতন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ আর সংখ্যালঘু তামিল সম্প্রদায়কে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মোকাবিলার সংকট তো রয়েছেই৷ এসব মিলিয়ে ঘরে বাইরে চাপ বাড়তে পার তার ওপর৷

রাজাপাকসে নিজেও এ বিষয়টি নিয়ে স্পষ্টভাবেই কথা বলেছেন৷ তামিলদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংহতি প্রক্রিয়ার বিষয়ে শ্রীলংকা তার নিজের পথেই চলবে বলে উল্লেখ করে রাজাপাকসে বলেছেন, জাতিগত সংহতি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে দেশে-বিদেশে এমন কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না তার সরকার৷

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আমাদেরকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং কোনো চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করাটা ঠিক হবে না৷ ভিন্ন একটা বিবৃতিতে রাজাপাকসে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নাম উল্লেখ না করে এ দেশগুলোর সমালোচনা করেন৷ গত বছরের মে মাসে টাইগার বিরোধী যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে অস্ত্রবিরতির বিষয়ে চাপ দিয়েছিল এ দেশগুলো৷

গৃহযুদ্ধ অবসানের পর কলম্বোর স্টক মার্কেটের সূচক প্রায় ১২৫ ভাগ বেড়েছে৷ সফলভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পরও সূচকের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অঙ্গন সামাল দিতে পারলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করা রাজাপাকসের জন্য খুব কঠিন হবে না৷

প্রতিবেদন : মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক