1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসী তৎপরতার অভিযোগে হামবুর্গে মসজিদ বন্ধ

৯ আগস্ট ২০১০

জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গে অবস্থিত একটি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ মসজিদটিকে সন্ত্রাসী তৎপরতার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অভিযোগে কর্তৃপক্ষ মসজিদটি সোমবার সকালে বন্ধ করে দেয়৷

https://p.dw.com/p/Ofcb
Taiba-Moschee in Hamburg
মসজিদ গেটে পুলিশছবি: picture alliance/dpa

সোমবার খুব সকালে হামবুর্গের জাঙ্কট গিয়র্গ নামে জায়গায় অবস্থিত মসজিদ আল কুদস'এ ২০ জন পুলিশ সদস্যের একটি দল অভিযান চালায়৷ দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে তারা সেখানে তল্লাশি চালায় এবং পরে মসজিদটি বন্ধ করে দেয়৷ একইসঙ্গে মসজিদের সঙ্গে অবস্থিত তাইবা নামে জার্মান আরব সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ মসজিদটিতে আকস্মিক পুলিশী অভিযান এবং তা বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানকার অনেক মুসলমানই হতভম্ব হয়ে পড়েছেন৷ কী কারণে হঠাৎ করে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হল, সেটি নিয়ে স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷

Taiba-Moschee in Hamburg
মসজিদের গেট সিল করে দেওয়া হয়েছেছবি: AP

এই ব্যাপারে হামবুর্গের স্বরাষ্ট্র বিভাগ একটি বিবৃতি দিয়েছে৷ তাতে তারা মসজিদ এবং জার্মান আরব সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে৷ স্বরাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ফ্রাঙ্ক রেশ্রাইটার বার্তা সংস্থা এপি'কে বলেছেন, মসজিদটি ইসলামি জঙ্গিদের একটি মিলনস্থলে পরিণত হয়েছে যারা তথাকথিত জিহাদ কিংবা পবিত্র যুদ্ধে অংশ নিতে চায়৷ গোয়েন্দারা অনেকদিন ধরে এই মসজিদটির ওপর নজর রেখে আসছিল৷ তিনি আরও জানান, মসজিদটিতে তল্লাশি চলছে এবং প্রয়োজন হলে সেখানকার জিনিসপত্র জব্দ করা হবে৷

Police Seize the Documents from the mosque
চলছে জিনিষপত্র জব্দছবি: picture alliance/dpa

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ১১ই সেপ্টেম্বরে হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন অন্তত তিন ব্যক্তি মসজিদটিতে নিয়মিত বৈঠক করতো৷ তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল মোহাম্মদ আতা, যে নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার সময় বিমান হাইজ্যাকারদের মধ্যে ছিল৷ তার হাইজ্যাক করা বিমানটিই প্রথমে টুইন টাওয়ারে গিয়ে আঘাত হানে৷ এ ব্যাপারে হামবুর্গের গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা মানফ্রেড মুর্ক বলেছেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে মসজিদটি গোটা জার্মানির জিহাদপন্থীদের একটি প্রতিকে পরিণত হয়েছে, কারণ এখানে টুইন টাওয়ারে হামলাকারীদের স্মৃতি জড়িত রয়েছে৷ একইসঙ্গে এটা উগ্রপন্থীদের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে৷' মানফ্রেড মুর্ক আরও বলেন, মসজিদটির ইমাম শুক্রবারের খুতবায় প্রায়ই উগ্রবাদ প্রচার করতেন৷

নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত বছর এই মসজিদটি থেকে ১০ সদস্যের একটি দল পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানে ভ্রমণ করেছে৷ আর এর মধ্যে অন্তত একজন, পাকিস্তানের একটি জঙ্গি দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ পরবর্তীতে একটি ভিডিওতেও ওই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ