1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আমার ফাঁসি চাই’

৮ এপ্রিল ২০১৪

দেশের রাজনীতিতে হয়নি কোনো পালাবদল৷ কিন্তু ঘটছে নানা ঘটনা৷ সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে তাই নানা প্রতিক্রিয়া উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷

https://p.dw.com/p/1Bdev
Bangladesch Erster Jahrestag der Shahbagh Bewegung 2014
ছবি: DW/M. Mamun

আমার ব্লগে রাশেদা খান লিখেছেন ৫৭ ধারা এবং সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে৷ তিনি লিখেছেন,‘‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রশ্নে যাদেরকে একসময় এক মনে হয়েছিলো, তাদের অসাম্প্রদায়িকতার অর্থ ও তাৎপর্যের ভিন্ন রূপ দেখে আমি দিশেহারা৷ আওয়ামী লীগ এবং এই লীগ ঘরানার ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের পোস্ট, কমেন্টস এবং অনলাইন ও ভার্চুয়াল জগতে তাদের কার্যক্রম থেকে আমি যা বুঝি, অসাম্প্রদায়িকতা মানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহ' দিয়ে পথ চলাকে স্বাগত জানানো, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বিতাড়িত করতে খুব সূক্ষ্মভাবে ইন্ধন যোগানো, ‘নারীর নারী হয়েই' থাকা যেন শফি হুজুরের মত ঘুমন্ত শয়তানেরা জেগে না ওঠে৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘এ সব ব্লগারদের কাছে অসাম্প্রদায়িকতা মানে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে শান্ত রাখতে সংস্কৃতির গতিপথ রোধ করা৷ শুধু আল্লাহ এ বিশ্বাস স্থাপন করা ও অবিশ্বাসীদের আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কঠোর হস্তে দমন করা, বাক স্বাধীনতা বা প্রশ্ন করার অধিকার কেড়ে নেওয়া৷

Bangladesch Ausschreitungen 29. Dez. 2013
দলকে যে ‘কিছু' দিতে পারবে সেই দলের নেতা হবেছবি: Reuters

তিনি বিস্মিত হয়ে লিখেছেন, ‘‘আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে এ ধরনের চিন্তাভাবনা আর কার্যক্রম বিএনপি-জামাতের অবস্থান বলেই জানতাম! কিন্তু আমার পেইজে তো বিএনপি-জামাত ঘরানার কেউ নেই৷ আমার এখানেতো সব স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ৷ অথচ আমি এখন স্বাধীনতার পক্ষের আর বিপক্ষের শক্তিকে আলাদা করতে পারছি না৷ দুই দলের চেতনা মিলেমিশে একাকার, কী কষ্টের!

একই ব্লগে কাজী ফরিদ লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনেক আশা নিয়েই ছাত্রলীগ করি৷ শুধুমাত্র পাওয়ার জন্যই নয়, দেয়ার জন্যও বটে৷ আপনার নির্দেশনাও ছিল সঠিক সময়ে কমিটি করার জন্যে৷ হ্যাঁ কমিটি হয়েছিল৷ যারা বিএনপি জামায়াতের আমলে মাঠে ছিল, মূল্যায়িত হয়েছে তারা যারা চাঁদাবাজি করে টাকা কামিয়েছে৷ নেতারা সেই দিন বলেছিলেন দলের জন্যে যে ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে, দলকে যে ‘কিছু' দিতে পারবে সেই দলের নেতা হবে৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি দলের জন্যে প্রাণ দিতে পারতাম কিন্তু আমার মূল্যায়ন হয়নি৷ দলের জন্যে নাকি টাকাই মুখ্য! আমারতো টাকা নেই, আমি ভালবাসা ছাড়া কিছুই দিতে পারবো না এই অপরাধে আমার ফাঁসি চাই৷''

তিনি লিখেছেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার পিতামহ যুদ্ধ করেছিলেন, কিন্তু সনদ নেননি৷ একদিন কৌতূহলে জিজ্ঞেস করেছিলাম সনদ কেন নেননি? উত্তরে বলেছিলেন মুক্তির জন্যে যুদ্ধ করেছি সনদ আনার জন্যে নয়৷''

তিনি আক্ষেপ করে লিখেছেন, ‘‘সকল নেতার পথের সমাপ্তি যেখানে বঙ্গবন্ধুর শুরু সেখানে৷ আপনি সেই রক্তের৷ কেন আমূল পরিবর্তন আনছেন না? যদি আমাদের মুক্তি এনে দিতে না পারেন তাহলে আমাদের মতো মানুষের ফাঁসি কার্যকর করুন৷ সবার আগে আমার ফাঁসি চাই!''

সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সামহয়্যার ইন ব্লগে মতিউর রহমান মিঠু একটি ছড়া লিখেছেন,

‘‘উল্টো রাজার দেশে এখন বেঁচে থাকাই দায়

দেশের মাথা মিলেমিশে গরিব মেরে খায়!

হাঁটতে হলেও লাগবে যে টোল, আজব বাংলাদেশে

সুশীল সমাজ ঝগড়া করে টিভি পর্দায় এসে....

এদল ওদল দু'দল মিলে কামড়া কামড়ি করে

তবু কেনো ক্রসফায়ারে নিরীহ লোক মরে!

এসব কথা বলতে গেলে রাজাকার দেয় আখ্যা

অনেক ভেবেও পাইনা কেনো এসব কথার ব্যাখ্যা!

জন-প্রতিনিধি ওরা কেমন করে হয়

যাদের দেখে আম জনতার বুকে লাগে ভয়!

উল্টো রাজার দেশে বাঁচি উল্টো করে মাথা

ম্যাংগো পিপল চলো ঘুমাই গায়ে দিয়ে কাঁথা৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য