1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব্জি + ফল + সাদা জল = দারুণ ফিগার

১ ফেব্রুয়ারি ২০১১

দারুণ ফিগার চান? সুস্থ শরীর? তাহলে বেশি করে ফল খান, খান সব্জি, নুন খাবেন না, সাদা জল পান করুন, ঠান্ডা পানীয় নয়৷ নতুন গাইডলাইন শোনা গেল ওবামা প্রশাসনের৷

https://p.dw.com/p/1089i
ফিগার ঠিক রাখতে গেলে...ছবি: AP

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অসংখ্য সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল জনগণের গণহারে মোটা হয়ে যাওয়া৷ ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম হল ‘ওবেসিটি'৷ তো, এই ওবেসিটি বা মোটা হওয়ার রোগ থেকে বাঁচতে চান না এমন কেউই কিন্তু এই দুনিয়ায় নেই৷ বিশেষ করে আধুনিক প্রজন্মের সামনে সবচেয়ে বড় ত্রাস হল ফিগার নষ্ট হওয়া৷ লোকের চোখে হেয় হওয়া, বাজারে নিন্দা কুড়ানো আর মহিলাদের জন্য তো মোটা হওয়ার অর্থ একটাই৷ যার নাম সর্বনাশ৷ কারণ, মোটা হওয়া মানেই সব আকর্ষণ হারানো৷ চিরতরে৷

তাই অ্যামেরিকানদের সর্বনাশ থেকে বাঁচাতে এখন এগিয়ে এসেছেন তাদের ‘চেঞ্জ' বা পরিবর্তনের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং তাঁর প্রশাসন৷ সোমবারেই মার্কিন খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নতুন বছরের গাইডলাইন প্রকাশ করেছে সরকার৷ মার্কিন কৃষিমন্ত্রী টম ভিসাকের বিবৃতিতে গোটা অ্যামেরিকাকে বলা হয়েছে, যদি মোটা না হতে চান, তাহলে বেশি করে ফল খান, খান সব্জি, পান করুন বিশুদ্ধ জল৷ চিনি দেওয়া যাবতীয় পানীয় জীবন থেকে বাদ দিন৷ কমিয়ে ফেলুন লবণের প্রতি প্রেম৷

Children drinking water from a water pipe in Patna
বোতলের রঙিন পানীয় নয়, সাদা জলই সেরাছবি: UNI

কিন্তু জীবন থেকে প্রিয় খাদ্য পানীয় বাদ দিয়ে দিলে, তারপর কী হবে? তার জবাবও দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ভিসাক৷ বলেছেন, অধিকাংশ অ্যামেরিকান নাগরিকের প্রধান সমস্যা হল কোমরে আর পেটে থলথলে চর্বি৷ যে অতিরিক্ত চর্বি ক্রমশ অন্যান্য রোগকে ডেকে আনে৷ বাসা বাঁধে শরীরে তারা৷ তারপর শুরু হয় নানান সমস্যা৷ সুতরাং, কোমরের চর্বির বিরুদ্ধে লড়াই চালু রাখা চাই৷

গত বছর এই কৃষিমন্ত্রক মার্কিন স্কুলের খাদ্যতালিকার যে নমুনা দিয়েছিল, তাতেই বলা হয়েছিল, মোটা হওয়ার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করতে হবে শৈশব থেকে৷ তার জন্য স্কুলের খাবারে আলু, ভাত, ফাস্ট ফুড একেবারে বাতিল করে পাতাওলা সব্জি, স্যালাড, ফলমূল এসবের দিকে নজরদারি চালু হয়েছে৷ এবার সেই নজরদারি চালু করা হচ্ছে আম জনতার জন্যও৷

এখানেই শেষ নয়৷ আরও আছে৷ মাংস থেকে শুরু করে যাবতীয় খাদ্যনির্মাতা সংস্থার কাছে পৌঁছে গেছে সরকারি গাইডলাইন৷ যাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, কী ধরণের খাদ্য পুষ্টিকর অথচ ক্ষতিকর নয়, তা লিখে দিতে হবে প্রতিটি খাদ্যের প্যাকেটে৷ যাতে খাওয়ার সময়েও সিগারেটের মতই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণের দিকে চোখ পড়ে মানুষের৷ যাতে সে জানতে পারে, যেটা সে খাচ্ছে সেটা খেলে কতটা বেড়ে যেতে পারে কোমরের চর্বির পরিমাণ৷

এতসব সতর্কতার পর শেষ কথা হল, ‘বাসনার সেরা বাসা রসনায়৷' সেই রসনাকে সম্বরণ করা কী এতই সোজা? দেখা যাক ওবামা প্রশাসনের ‘চেঞ্জ' মার্কিন খাদ্যাভ্যাসে বিপ্লব আনতে পারে কিনা!

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার