1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সব প্রস্তুত, আসছেন 'ইন্ডিয়ানা জোনস’

১০ নভেম্বর ২০১০

অ্যাডভেঞ্চার ছবির কথা বলে যদি কোন ছবিকে কল্পনা করতে হয়, তাহলে অনেকের মতো আমারো চোখের সামনে ভেসে ওঠে ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’৷ স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি৷ ‘ইন্ডিয়ানা জোনস’ ফ্যানদের জন্য মজার খবর হলো এবার আসছে এর পঞ্চম পর্ব৷

https://p.dw.com/p/Q3im
American, actor, Harrison, Ford, Calista, Flockhart, Indiana Jones, International, film, festival, Cannes, France, ইন্ডিয়ানা জোনস, হ্যারিসন ফোর্ড,
অভিনেত্রী ক্যালিস্টা ফ্লোকহ্যার্ট এর সাথে হ্যারিসন ফোর্ড (ফাইল ছবি)ছবি: AP

তৃতীয় পর্বটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৯ সালে৷ এর উনিশ বছর পর চতুর্থ পর্ব৷ ২০০৮ সালে৷ আর এবারের নতুন পর্বে সেই ছবির জনপ্রিয় নায়ক ৬৮ বছর বয়সের হ্যারিসন ফোর্ড তাঁর ক্যারিয়ারের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্রটিতেই আবারও অভিনয় করছেন; ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘সান' এই খবরটি নিশ্চিত করেছে৷

স্টিভেন স্পিলবার্গের ছবি ‘ইন্ডিয়ানা জোনস' এর নামভূমিকায় ১৯৮১ সালে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ফোর্ড৷ এরপর আরও দুটি পর্বের (১৯৮৪ ও ১৯৮৯) পর এ সিরিজ নিয়ে ছবি না বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন স্পিলবার্গ৷ কিন্তু করবো না, করবো না – বলেও ২০০৮ সালে ‘কিংডম অফ দ্য ক্রিস্টাল স্কাল' নামে আরেকটি পর্ব তৈরি করে ফেলেন, এরপর মুক্তি পেলে সেটিই হয়ে যায় ব্লক বাস্টার ছবি৷ ফলে তখন থেকেই নতুন আরেকটি পর্ব করার বিষয়টি চিন্তা করতে শুরু করেন স্পিলবার্গ৷

কিন্তু নায়ক? ‘ইন্ডিয়ানা জোনস', মানে হলিউড অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ড কি পারবেন? এক এক করে তাঁর বয়স হয়েছে ৬৮ বছর৷ তাহলে উপায়? তাছাড়া হ্যারিসন ফোর্ড নিজেও ভাবছিলেন এই বয়সে এতো ধকল হয়তো সামলাতে পারবেন তিনি!

যাহোক সব দুশ্চিন্তার অবসান হলো৷ হ্যারিসন ফোর্ডের সম্মতি পাওয়া গেলো৷ বলা হচ্ছে, শরীর বুড়িয়ে গেলেও মন তো আর বুড়িয়ে যায়নি! তার প্রমাণ তো তিনি দিয়েছেন সম্প্রতি নতুন একটি বিয়ে করে! পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ এখন প্রযোজক ‘স্টার ওয়ার্স' খ্যাত জর্জ লুকাসকে সঙ্গে নিয়ে স্ক্রিপ্ট ঘষা-মাজার কাজটি করছেন৷ পরিচালক জানালেন, ‘‘নায়ক ফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তিনজন ছবির প্রাথমিক সব কাজ শেষ করবো, দেখা হবে যেন কোন সমস্যা না হয়, সেই ব্যাপারটি৷''

নতুন পর্বটির শুটিং আগামী বছরই শুরু হবে এবং ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে দর্শকরা এটি দেখতে পারবেন, এমনটাই আশা করছে প্রযোজনা সংস্থা৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন