1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আজগুবি হোটেল

এলিজাবেথ শাপিরো/এসি১১ আগস্ট ২০১৬

আধুনিক যুগের মানুষদের সব কিছু চাই; হোটেলের আরাম চাই, কিন্তু হোটেলটা যত খাপছাড়া হবে, ততই মজা! এই ধরুন, হোটেলটা যদি একটা লম্বা ক্রেনের মাথার ওপর হয়? তা'ও পাওয়া যাবে – আমস্টারডামে৷

https://p.dw.com/p/1JfM5
05.2016 DW Euromaxx Series "Europas verrückteste Hotels" KW 21

আমস্টারডামের আজগুবি হোটেল

শহরের কেন্দ্রে নয়, বরং বন্দর এলাকায় একপায়ে খাড়া আমস্টারডামের সবচয়ে আজগুবি হোটেল – একটি ক্রেন! এডউইন কর্নমান হলেন ক্রেন হোটেলের আবিষ্কর্তা ও মালিক৷ বন্দরের এই ক্রেনটি যখন বাতিল করা হচ্ছিল, তখন এডউইন কর্নমান সেটি মাত্র এক ইউরো মূল্যে কিনে নেন ও বেশ কিছু রদবদল করেন৷ ক্রেনের লাল রং করা অংশগুলো হল নতুন, ছাইরংয়ের অংশগুলো আগে থেকেই ছিল৷ ক্রেন বদলে হোটেল করতে প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে৷

কার্লটা আর্নল্ড এই আজব হোটেলটির নতুন অতিথি৷ প্রথমে সিঁড়ি বেয়ে লিফট অবধি পৌঁছতে হবে; তারপর লিফট একেবারে ওপর পর্যন্ত পৌঁছে দেবে৷ ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই লিফট কার্লটাকে তাঁর রুমে পৌঁছে দিল৷ এরই নাম ফারাল্ডা ক্রেন হোটেল৷ এখানে তিনটি সুইট আছে৷ এডউইন কর্নমান জানালেন, ‘‘এটা হল পুরনো মেশিনরুম৷ ক্রেন ড্রাইভার আগে ঐ কোণাটাতে বসতেন৷''

ক্রেনটি রদবদল করে হোটেলে পরিণত করতে ত্রিশ লাখ ইউরো খরচ হয়েছে৷ এডউইন কর্নমান শোনালেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ আলাদা কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম৷ একটা ক্রেনের মধ্যে দারুণ একটা হোটেল, তাতে সব ডিজাইনার সুইট থাকবে৷'' সেজন্য তিনি একটা পুরস্কার পর্যন্ত পেয়েছেন৷ তিনটি কামরার প্রতিটি পরিকল্পনা করেছেন ও সাজিয়েছেন অপর একজন ডিজাইনার৷ কিন্তু দামি আসবাবের চেয়েও যা অতিথিদের মুগ্ধ করেছে, তা হলো এখানকার ভিউ বা দৃশ্য৷ কার্লটা আর্নল্ডও স্বীকার করলেন, ‘‘যাদের উচ্চতায় ভয় আছে, তাদের পক্ষে এই হোটেল উপযুক্ত নয়৷ এমনভাবে তৈরি যে, চারদিক থেকেই একেবারে নীচ অবধি দেখা যায়৷''

ক্রেন হোটেলে রাত কাটানোর খরচও কম নয়: ৪৩৫ ইউরো থেকে শুরু, তাতে প্রাতরাশ পর্যন্ত ধরা নেই৷ কার্লটার কামরা মাটি থেকে ৪৫ মিটার উঁচুতে! কিন্তু এখান থেকে সারা আমস্টারডামের দৃশ্য দেখা যায়৷ আগে একমাত্র ক্রেন ড্রাইভার এই দৃশ্য দেখতে পেতেন৷

কার্লটার রাত কাটল মাটি থেকে অনেক ওপরে৷ পরের দিন ঘুম থেকে উঠে কার্লটা বললেন, ‘‘ক্রেনে শুতে খুব ভালোই লাগে – শুধু একটা ব্যাপার আছে৷ রাতে যখন লিফটটা চলে তখন একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়৷ লিফটের আওয়াজ শোনা যায়, কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়, ক্রেনটা যেন নড়ছে৷ কিন্তু পরে বোঝা যায়, ক্রেনটা একই জায়গায় রয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য