1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমীক্ষায় জার্মানির ভাবমূর্তি শীর্ষে

২১ এপ্রিল ২০১০

জার্মানি বলতেই কী মনে হয়? ফুটবল, গাড়ি – নাকি উন্নত প্রযুক্তি? সব দেশেরই নিজস্ব কিছু ভাবমূর্তি আছে৷ গোটা বিশ্বে জার্মানির প্রভাব-প্রতিপত্তি কতটা? সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই প্রশ্ন করা হয়েছিল৷ উত্তরটা জানতে চান?

https://p.dw.com/p/N1m8
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কে ভেবেছিল, জার্মানির ভাবমূর্তির এতটা উন্নতি হবে?ছবি: AP

বিশ্বমঞ্চে মোট ২৮টি দেশের প্রভাব-প্রতিপত্তি সম্পর্কে ২০০৫ সাল থেকে এই সমীক্ষা চালানো হচ্ছে৷ বিবিসি'র উদ্যোগে গ্লোবস্ক্যান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মসূচি এই জনমত সমীক্ষা চালিয়ে থাকে৷ গত রবিবার সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে৷ একেবারে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে জার্মানি৷ যাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫৯ শতাংশ মানুষ জার্মানি সম্পর্কে বেশ ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন৷ মাত্র ১৪ শতাংশ জার্মানির ভূমিকাকে নেতিবাচক বলে মনে করেন৷

Merkel Dänemark Klima Gipfel Kopenhagen
বিশ্বমঞ্চে জার্মানির ভূমিকা এখন বেশ ইতিবাচকছবি: AP

জার্মানির উজ্জ্বল ভাবমূর্তি

এই জনমত সমীক্ষা খুঁটিয়ে দেখলে জার্মানির ভাবমূর্তির আরও বেশ কিছু দিক লক্ষ্য করা যায়৷ যেমন প্রতিবেশী দেশ ফ্রান্সের মানুষ বিশ্বে জার্মানির ভূমিকা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী সন্তুষ্ট৷ প্রায় ৮৪ শতাংশ মানুষ এই মত প্রকাশ করেছেন৷ জার্মানির প্রতি এমন ইতিবাচক ধারণা যাঁরা পোষণ করেন, সেই তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে উত্তর কোরিয়া ও ইটালি৷ অন্যদিকে ভারত, পাকিস্তান ও তুরস্কের মানুষ জার্মানি সম্পর্কে তেমন উৎসাহ দেখান নি৷ এই সব দেশে প্রায় ৩৩ শতাংশ মানুষ জার্মানি সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন৷ তবে একইসঙ্গে সেখানকার প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ আন্তর্জাতিক মঞ্চে জার্মানির ভূমিকাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ জাপানের প্রায় ৫৩ শতাংশ এবং ব্রিটেনের ৫২ শতাংশ মানুষের মনে জার্মানির ভাবমূর্তি বেশ উজ্জ্বল৷

Symbolbild Obama Capitol
ওবামার আবির্ভাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির উন্নতি ঘটিয়েছেছবি: AP / DW

ওবামার অবদান

এই সমীক্ষায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তির ব্যাপক উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে৷ দ্বিতীয় ইরাক যুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার ভাবমূর্তির এমন উন্নতি দেখা যায় নি৷ ২০০৫ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমেরিকার ভূমিকা সম্পর্কে মনোভাব অত্যন্ত নেতিবাচক ছিল৷ আজ প্রায় ৪০ শতাংশ ওয়াশিংটনের ভূমিকাকে ইতিবাচক এবং ৩৪ শতাংশ নেতিবাচক হিসেবে গণ্য করে৷ মূলত প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামার আবির্ভাব এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে৷ সবচেয়ে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে জার্মানিতে৷ অতীতে ১৮ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৩৯ শতাংশে উঠে এসেছে আমেরিকার স্থান৷

বাকিদের অবস্থান

চীন সম্পর্কে বিশ্ব জনমত প্রায় দ্বিধাবিভক্ত বলা চলে৷ ১২টি দেশ চীন সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে, অন্য ১২টি দেশের ধারণা একেবারে বিপরীত৷ জার্মানিতে প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষ চীনের বেড়ে চলা প্রভাবকে হুমকি হিসেবে গণ্য করেন৷ যেসব দেশের ভাবমূর্তি সার্বিকভাবে বেশ নেতিবাচক, বিগত কয়েক বছর ধরে সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, পাকিস্তান, ইরান এবং ইসরায়েল৷

প্রতিবেদক: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক