1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি চেষ্টায় সবুজে সবুজ বোট্রপ

৩০ জানুয়ারি ২০১১

যে শহরটি কয়দিন আগেও কয়লার শহর হিসেবে পরিচিত ছিলো, সেই শহরটি এখন সবুজে ছেয়ে গেছে৷ বলতে চাই রূঢ় উপত্যকার কোলে বোট্রপ শহরের কথা৷ যে শহরটি ইউরোপের একটি রোল মডেল হতে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/107Gw
সবুজ বোট্রপছবি: alpincenter

জার্মানির মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের একটি শহর বোট্রপ৷ লোকসংখ্যা ৬৯ হাজার৷ জার্মানির সাবেক শিল্প এলাকার প্রাণকেন্দ্র রূঢ় উপত্যকার এই শহরটি একটি লক্ষ্য নিয়ে এখন সামনে এগিয়ে চলেছে৷ আর সেটি হলো আগামী দশ বছরের মধ্যে এটি জার্মানির সবচেয়ে সবুজ শহর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চায়৷

২০২০ সালের মধ্যে এই শহরটি বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়৷ আর এই কাজের জন্য বিনিযোগ করা হবে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো৷ শিল্প এলাকা হওয়ার কারণে এই শহরটি অতীতে পরিবেশের যত দূষণ ঘটিয়েছে, নতুন বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে যেন তারই ভারসাম্য আনার চেষ্টা৷

তাপমাত্রা কমানো এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এই শহর সৌরশক্তি এবং উইন্ড মিলের মতো নবায়নযোগ্য বিভিন্ন শক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে৷

‘রূঢ় ইনোভেশন সিটি'র গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মারকুস পাল্ম বলছেন, আসলে নির্দিষ্ট কোনো রূপরেখা মেনে এই কাজটি করা হচ্ছে না৷ বাস্তবতার প্রয়োজনে এতে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, তাপের অপচয় রোধ, স্মার্ট বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয় মাথায় রেখে প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে৷

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ধরা যাক, এই শহরের বড় কোনো বেকারি কিংবা কারখানার কথা, যা তাপ সৃষ্টি করছে৷ যদি তার আশেপাশে কোনো সুইমিং পুল কিংবা আবাসিক এলাকা থাকে, এই তাপকে সেখানে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ পাল্ম বলেন, আমাদের কাছে ইতোমধ্যে যে তাপ রয়েছে প্রয়োজনে আমরা সেটাকে অন্যভাবে, অন্য জায়গায় ব্যবহার করতেই পারি৷

শহর পরিকল্পনাবিদ ক্লাইনহাইন্স বলেন, এই প্রকল্পের মধ্যে স্কুলগুলোর আরও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মধ্যে এর সাফল্য অনেকখানি নির্ভর করছে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়