1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইপ্রাস সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় জাতিসংঘের মহাসচিব

২ ফেব্রুয়ারি ২০১০

সাইপ্রাসের বিভক্ত দুই সম্প্রদায়ের নেতারা সোমবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন৷ এসময় তারা জাতিসংঘের উদ্যোগে সাইপ্রাসের একত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার করেন৷

https://p.dw.com/p/LpD5
সাইপ্রাসে বান কি মুনছবি: AP

জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সোমবার সাইপ্রাসের একত্রীকরণ নিয়ে বিবাদমান দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা করার জন্য দেশটিতে সফরে যান৷ সেখানে তিনি প্রথমে সাইপ্রাসের তুর্কি অংশের প্রধান মেহমেত আলী তালাত ও পরে গ্রীক অংশের নেতা দিমিত্রিস ক্রিস্টোফিয়াসের সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হন৷ এরপর নিকোশিয়ায় জাতিসংঘ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বান বলেন, তিনি খুবই আনন্দিত, কারণ দুই নেতাই তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন৷ সংবাদ সম্মেলনে দুই নেতাই উপস্থিত ছিলেন৷

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বছরের পর বছর ধরে বিশ্বের সবাই শুনে আসছে যে সাইপ্রাস সমস্যা জর্জরিত একটি দেশ৷ কিন্তু এখন সময় এসেছে যখন সবাই জানবে যে দেশটিতে শান্তি ফিরে এসেছে৷ আট বছর আগে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব কোফি আন্নান সাইপ্রাস সফর করেন৷

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র সাইপ্রাস বিভক্ত অবস্থায় রয়েছে৷ সেসময় দেশটির গ্রীক অধ্যুষিত অংশে অভ্যুত্থান হলে তুরস্ক সাইপ্রাসের উত্তরাঞ্চলের এক তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়৷ এরপর থেকে তুরস্কের প্রায় ৪৫ হাজার সৈন্য সেখানে মোতায়েন রয়েছে৷ অন্যদিকে, গ্রীন লাইন বা বাফার জোনে পাহারায় রয়েছে জাতিসংঘ মিশনের ৮৫০ সদস্য৷ এই গ্রীন লাইনই দক্ষিণের গ্রীক অধ্যুষিত এলাকা ও উত্তরের তুর্কী অধ্যুষিত এলাকাকে পৃথক করে রেখেছে৷ ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হলেও সম্পদ, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক সমন্বয়ের বিষয়ে এখনো দূরত্ব রয়েই গেছে৷

এদিকে কিছুদিন আগে তুর্কি অংশের নেতারা দ্বীপটির আকাশসীমা ব্যবহারে পৃথকভাবে আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রস্তাব দিলে গ্রীক অংশের নেতারা তার সমালোচনা করেন৷ এর আগে ২০০৪ সালে জাতিসংঘ একত্রীকরণের প্রস্তাব দিলে তুর্কি অংশের জনগণ গণভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটিতে সমর্থন জানালেও গ্রীক অংশের জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করে৷

আগামী এপ্রিলে তুর্কি অংশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে যেখানে বর্তমান নেতা তালাতের চেয়েও কট্টরপন্থি এক নেতার জয়লাভের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ তাই বিশেষজ্ঞরা বর্তমান দুই নেতার মধ্যে একটি সমাধান না হলে পরবর্তীতে শান্তি আলোচনার ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷ নির্বাচনে কট্টরপন্থি নেতা ডেরভিস ইরোগলু জয়লাভ করলে তার সাথে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন গ্রীক নেতা ক্রিস্টোফিয়াস৷ তিনি আশা প্রকাশ করেন যে কোনো বিষয়ই সমাধানের পথে বাধা হতে পারবেনা৷ স্টোফিয়াস বলেন, খুব শীঘ্রই আলোচনার নতুন সময় ঘোষণা করা হবে৷ আলোচনার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে তুর্কি নেতা তালাত বলেন, এমনকি নির্বাচনের সময়ও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা বলছেন, সাইপ্রাসের একত্রীকরণের উপরই নির্ভর করছে তুরস্কের ইইউ সদস্যভুক্ত হবার সম্ভাবনা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন