1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাঈদীকে ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ

২ নভেম্বর ২০১০

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷

https://p.dw.com/p/PwU8
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ dpa

একই সঙ্গে আগামী ২৩শে ডিসেম্বরের মধ্যে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অন্যতম অভিযুক্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয় সকালে৷ আর বিচারক প্যানেলের আদালতে দাঁড় করানো হয় সাড়ে ১০টার দিকে৷ বিচারকরা সাঈদীর বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৭১ সালে হত্যা-লুন্ঠন-ধর্ষণ, স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে বৈঠকসহ রাজাকার-আল বদর বাহিনী গঠনে তাঁদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ এসময় আরো তদন্তের স্বার্থে সাঈদীর গ্রেফতারি পরোয়ানা বহাল রাখার আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ৷ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হায়দার আলী জানান, সাঈদী বাইরে থাকলে তদন্ত কাজ প্রভাবিত করতে পারেন৷

তবে তদন্ত প্রতিবেদনে সাঈদীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই বলে দাবি করেন তার আইনজীবীরা৷ তারা বলেন, সাঈদীকে ২৯শে ডিসেম্বর পর্যন্ত আটক রাখার আদেশ ঠিক হয়নি৷ যেমন বললেন, সাঈদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম৷

আদালত দু'পক্ষের শুনানি শেষে ২৩শে ডিসেম্বর পর্যন্ত সাঈদীকে আটক রাখার নির্দেশ দেন৷ এবং ৩০শে ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন৷

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মীর কাশেম আলীসহ অন্যান্য অভিযুক্তদের অপরাধেরও তদন্ত চলছে৷

অন্যদিকে, পাকিস্তান থেকে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনে দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছেন হাইকোর্টের দু'জন বিচারপতি৷ তাই আবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য এখন প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠান হয়েছে৷ রিটে উইং কমান্ডার হামিদুল্লাহ খান বলেছেন, ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে সেদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ তাদের বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে এবং ৭৪ এর চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করতে হবে বলে তিনি দাবি করেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক