1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাকা চৌধুরী, মীর কাসেম গ্রেফতার হতে পারেন

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০

একাত্তরে চট্টগ্রামে গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং জামায়েত নেতা মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/PMbq
ছবি: AP

তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত দল৷ এই দলটি শনিবার দ্বিতীয় দিনের মত চট্টগ্রামে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত কাজ চালিয়েছে৷ সকাল ৯টার দিকে চিফ প্রসিকউটর গোলাম আরিফ টিপুর নেতৃত্বে তদন্ত দল কাটা পাহাড়ে ডালিম ভবনে যায়৷ ওই ভবনের বাসিন্দারা জানান, একাত্তরে পাক সেনা এবং তাদের দোসর রাজাকাররা নিরীহ মানুষকে ডালিম ভবনে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করত৷ একই পরিবারের ৭ জনকে হত্যারও নির্মম নজীর রয়েছে৷

তদন্তকারী দল পাহাড়তলী বধ্যভূমি, পাঞ্জাবী লেন এবং ফয়'স লেক এলাকায় নারী নির্যাতন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন৷ ওই কেন্দ্রে নারীদের ধরে এনে একাত্তরে নির্মম পাশবিক নির্যাতন চালান হত৷ এরপর সার্কিট হাউজে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তদন্তকারী দল জানায়, দুই দিনের তদন্তে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী , তার বাবা ফজলুল কাদের চৌধুরী (মৃত) এবং জামায়েত নেতা মীর কাশেম আলীর ব্যাপারে একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ চিফ প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু বলেন, একাত্তরে চট্টগ্রামের গণহত্যায় এই তিন জনের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মীর কাশেম আলীকে গ্রেফতার করা হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে প্রসিকউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন বলেন আইন অনুযায়ী তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবেন না তারা৷ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল প্রভাব-প্রতিপত্তি , রাজনৈতিক প্রভাব বা প্রশাসনিক প্রভাব কোন কিছুরই ধার ধারেনি৷

প্রথমদিনের তদন্তে শুক্রবার তদন্তকারীরা চট্টগ্রামের রাউজানে একাত্তরে নতুন চন্দ্র সিংহ , জগৎমল্লপাড়ায় ৩৭ এবং উনসত্তর পাড়ায় ৬৯জনকে হত্যাকাণ্ডের সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেন৷

সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী অবশ্য যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন