1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাদা পোশাকে শোক পালন করছে ক্যাম্বোডিয়ার জনগণ

২৫ নভেম্বর ২০১০

ক্যাম্বোডিয়ায় জল উৎসবে নিহতদের স্মরণে বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে৷ প্রধানমন্ত্রী হুন সেন সকালেই দুর্ঘটনাস্থলে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিবসের সূচনা করেন৷

https://p.dw.com/p/QHiF
শোকের ভারে ন্যুব্জ ক্যাম্বোডিয়াছবি: AP

গত সোমবারের এই দুর্ঘটনার পর আজকের রাষ্ট্রীয় শোক দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর সব সরকারি অফিস-আদালতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে৷ স্কুল-কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে৷

শোক দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর টেঙ্গল সেপ নদীর ঐ সেতুতে হতাহতদের স্বজনরা সকাল থেকেই ভিড় জমাতে থাকেন৷ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও সেখানে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷ এই অনুষ্ঠানে আগত মহিলারা শোকের চিহ্ন কালো রঙের জামা পরেননি৷ তারা পরে এসেছিলেন সাদা রঙের পোশাক৷ কারণ, সাদাই হচ্ছে ক্যাম্বোডিয়ায় শোকের রং৷ প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বান রানী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হর নরহ্যামং নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান৷

এ সপ্তাহের শুরুটা সব সময় মনে রাখবে ক্যাম্বোডিয়ার জনগণ৷ কারণ গত ৩১ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সেদিন এত মানুষ সেখানে একসঙ্গে প্রাণ হারালো৷ গত সোমবার রাজধানী নম পেন'এর একটি দ্বীপে তিন দিনের পানি উৎসব শুরু হয়৷ অন্যান্য বছরের মতো এবারও এ উৎসবের অনুষ্ঠানমালায় ছিল টেঙ্গল সেপ নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা৷ এটি উপভোগ করতে নদীর উপরের একটি সেতু ও এর পাশের রাস্তাগুলোতে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ৷ ভিড়ের চাপে প্রথমে বেশ কয়েকজন মানুষের জ্ঞান হারিয়ে ফেলার ঘটনায় সৃষ্টি হয় আতঙ্কের৷ এরপরই আতঙ্কিত লোকজনের হুড়োহুড়ি শুরু হয়৷ অনেকে লাফিয়ে পড়েন নদীতে৷ দিগবিদিক ছুটে চলা মানুষের পায়ের নীচে চাপা পড়েই মারা যান বেশিরভাগ হতভাগ্য৷

সরকারি হিসাবে এই ঘটনায় মারা গেছে ৩৪৭ জন৷ অবশ্য প্রথমে এই সংখ্যা ৪৫৬ বলা হলেও পরে দেখা গেছে, নিহত অনেকের নাম একাধিকবার লেখা হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে ২২১ জনই নারী৷ হাসপাতালের তথ্য অনুসারে ঐ ঘটনায় আহত অন্তত ৩৯৫ জন৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক