1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাবধান – আজ কিন্তু ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন’

১৩ আগস্ট ২০১০

ফ্রাইডে দ্য থার্টিন শুনলেই ভয়ঙ্কর সব চিত্র ভেসে ওঠে চোখের সামনে৷ কুসংস্কারে বিশ্বাসীরা এ দিনটিকে ভয় করেন, মেনে চলেন৷ কিন্তু কেন অন্য সব দিন-ক্ষণ-কাল ছাড়িয়ে বেছে নেওয়া হল শুক্রবার অর্থাৎ ফ্রাইডেকে, আর কেনই বা ১৩ তারিখকে?

https://p.dw.com/p/Omrj
অ্যামেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জে ধ্বস নেমেছিলো এই দিনটিতেছবি: AP

বাইবেলের ভাষ্য অনুযায়ী, শুক্রবার যিশু খ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল, আদম আর হাওয়া এই শুক্রবারেই খেয়েছিলেন নিষিদ্ধ ফল৷ আর ১৩ হচ্ছে শয়তানের সবচেয়ে প্রিয় নম্বর৷ জুডাসেরও প্রিয় নম্বর ছিল ১৩৷ এছাড়া ১৯২৭ সালে অ্যামেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জে যেদিন ধ্বস নেমেছিল সেদিনটিও ছিল শুক্রবার৷ মার্কিনিরা আজো সেই দিনটি ‘কালো শুক্রবার' হিসেবে পালন করে৷ এছাড়া হলিউডের কল্যাণে ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন' নামে বেশ কিছু ভৌতিক ছবিও পেয়েছে বিশ্বাবাসী৷ প্রতিটি ছবিই ছিল রোমহর্ষক৷

জার্মানিতেও ফ্রাইডে দ্য থার্টিন

শুধু অ্যামেরিকা নয়, জার্মানিতেও এই ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন' মেনে চলেন অনেকে৷ জার্মানির হালে শহরের স্থপতি সুজানে অয়েন৷ তিনি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজই শুক্রবার করেন না, যদি শুক্রবারটি হয় ১৩ তারিখ৷ সুজান বলেন , ‘‘আমি চেষ্টা করি এই দিনে খুব হালকা ধরণের কাজ করতে৷ গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আমি আগের দিনই করে ফেলি অথবা পরে করি৷ যেমন কোনো অবস্থাতেই আমি এই দিনে ফ্লাই করি না, গাড়িও চালাই না৷ তবে কাজ করতে হলে আমাকে গাড়ি চালিয়েই যেতে হয়৷''

সুজানে অয়েনের জন্য ‘ফ্রাইডে দ্য থার্টিন' ভীতিকর একটি দিন৷ অন্য কোনো কুসংস্কারে তাঁর বিশ্বাস নেই৷ কিন্তু এই বিশেষ দিনটিতে তিনি সাবধান থাকতে পছন্দ করেন৷ সুজান আরো বললেন, ‘‘আমি কোনো ধরণের কুসংস্কারে বিশ্বাসী নই৷ কালো বিড়াল সামনে দিয়ে চলে গেলেও কিছু বলি না৷ দাঁড় করানো মইয়ের নিচ দিয়ে কেউ চলে গেলেও আমি ভড়কে যাই না৷ ভাঙা আয়নায় চেহারা দেখা খারাপ – এসব হকুসপকুসে আমি বিশ্বাসী নই৷ তবে আমি রাশিফল পড়ি এবং ফ্রাইডে দ্য থার্টিন মেনে চলি৷ কেন, তা অবশ্য আমি নিজেও জানি না৷''

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: মনিরুল ইসলাম