1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাবমেরিন দুর্ঘটনার জের

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

মুম্বই উপকূলের অদূরে আবারো সাবমেরিন দুর্ঘটনার জেরে ইস্তফা দিলেন নৌ-বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ডি. কে যোশী৷ তাঁর ইস্তফা সরকার গ্রহণ করেছে৷ নৌ-বাহিনীর কিলো ক্লাস ‘‘সিন্ধুরত্ন'' সাবমেরিনের দুর্ঘটনায় মারা যান দু'জন নৌসেনা৷

https://p.dw.com/p/1BH5T
ছবি: UNI

ভারতীয় নৌ-বাহিনীর সাবমেরিন বহরে গত ছয় মাসে পর পর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত সরকার৷ রিয়াল অ্যাডমিরাল পদের অফিসারের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সব'কটি সাবমেরিন দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে নিরাপত্তার সুপারিশ করবেন৷

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে বড় রকম দুর্ঘটনায় ‘‘সিন্ধুরক্ষক'' নামের সাবমেরিনে মারা যায় ১৮ জন নৌ-সেনা৷ ফের দুর্ঘটনা ‘‘সিন্ধুরত্ন'' ডুবোজাহাজে৷ মারা যান দু'জন নৌ-সেনা৷ আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রাথমিক কারণ হিসেবে অনুমান করা হচ্ছে, সাবমেরিনের ব্যাটারি চেম্বারে হাইড্রোজেন গ্যাস ‘লিক' করে ধোঁয়া বের হয় এবং সেই গ্যাসের ধোঁয়া নৌ-সেনাদের থাকার তিন নম্বর কুটরিতে ঢুকলে তাঁদের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়৷ জ্ঞান হারান সাতজন৷ সাগররত্ন ডুবোজাহাজে তখন ছিলেন ৮০ জন নাবিক৷

এর নৈতিক দায়িত্ব স্বীকার করে নৌ-বাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ইস্তফা দেন৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে অ্যান্টনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন৷ যদিও ব্যাপারটা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি৷ একই নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যান্টনির পদত্যাগ দাবি করেছে বিরোধীদল বিজেপি৷ ভারতে বিশাল সমুদ্রসীমা রক্ষায় নৌ-বাহিনী, তথা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তিন শাখাকে আধুনিক ধাঁচে ঢেলে সাজাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর গড়িমসিতেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলি৷

Indien Brand in einem U-Boot
‘‘সিন্ধুরক্ষক'' নামের সাবমেরিনে মারা যায় ১৮ জন নৌ-সেনাছবি: Reuters

একাধিক প্রশ্ন উঠেছে কেন গত ছয় মাসে পর পর এতগুলি সাবমেরিন দুর্ঘটনা ঘটলো? কোথায় আসল গলদ? মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সাবমেরিনগুলির যন্ত্রপাতির জীর্ণদশার কারণে এর অপারেশনযোগ্যতা কি হারিয়েছে? নাকি প্রশিক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব অথবা স্রেফ মানবঘটিত ভুল? সবথেকে বড় কথা, সাবমেরিনটি দু'মাস আগে মেরামতির পর সমুদ্রে পরীক্ষামূলকভাবে চালিয়ে দেখা হচ্ছিল৷ নৌ-বাহিনীর কোনো কোনো মহল থেকে একথাও উঠেছে যে, আগের দুর্ঘটনার পর নৌ-প্রধান যোশী শ'পাঁচেক নৌ-সেনা ও অফিসারদের অন্যত্র বদলি করায় বাহিনীর মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়৷

তবে এ কথা সত্যি যে, নৌ-বাহিনীর ১৩টি কিলো ক্লাসের প্রচলিত সাবমেরিনের মধ্যে পাঁচটির প্রযুক্তিগত আয়ু প্রায় শেষ৷ রাশিয়া নির্মিত পাঁচটি সাবমেরিন সিন্ধুঘোষ, সিন্ধুধ্বজ, সিন্ধুরাজ, সিন্ধুবীর এবং সিন্ধুরত্ন নৌ-বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে৷ নৌ বিশেষজ্ঞদের মতে, দু'দশকের বেশি কোনো সাবমেরিনের অপারেশানাল যোগ্যতা থাকে না৷ রাশিয়া ছাড়া আধুনিক সাবমেরিন দেশের মাটিতেই তৈরির জন্য জামর্নির সহযোগিতা চায় ভারত৷ জার্মানির ইউ-২০৯ শ্রেণির সাবমেরিন, যা শিশুমার নামে পরিচিত, ২০০৪ সালে ভারতে তৈরির কাজ শুরু হতেই ঘুস কেলেঙ্কারিতে তা বাতিল করা হয়, এমনটাই অভিযোগ৷ তারপর ২০০৫ সালে ফরাসি ডিজাইনে ছয়টি সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা করা হয়৷ কিন্তু পদ্ধতি ও প্রকরণগত বিলম্বের কারণে ফ্রান্স সেই প্রকল্প থেকে সরে আসার হুমকি দেয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য