1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক আদালতে কর্নেল তাহেরের ফাঁসি কেন অবৈধ হবেনা?

২৩ আগস্ট ২০১০

জেনারেল জিয়ার আমলে সামরিক আদালতে কর্ণেল তাহেরসহ ১৭ জনের গোপন বিচার এবং বিচারের সাজা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্ট৷

https://p.dw.com/p/OuFU
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অনেক অধ্যায়ের আজও মীমাংশা হয় নিছবি: AP

একই সঙ্গে ওই গোপন বিচারের নথিও তলব করেছে আদালত৷ ১৯৭৬ সালের ওই গোপন সামরিক বিচারে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসি দেয়া হয়৷ এছাড়াও আরো ১৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল৷

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী কর্ণেল তাহেরকে কোন অভিযোগে জেনারেল জিয়ার সামরিক আদালত ফাঁসি দিয়েছিল আজও জানেনা দেশবাসী৷ সেই গোপন বিচারে তাহের ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট ইউসুফকেও প্রথমে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়, পরে সাজার আদেশ পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় একই সামরিক আদালত৷

মামলায় মুক্তিযোদ্ধা মেজর জলিল, ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রব, হাসানুল হক ইনু, কর্ণেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, জাসদের তাত্ত্বিক সিরাজুল আলম খানসহ মোট ১৬ জনকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৷ কর্ণেল তাহেরের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবার পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ জনকে ১৯৮০ সালে হঠাৎ করেই কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়৷ পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের মধ্য দিয়ে জেনারেল জিয়ার সামরিক ফরমান অবৈধ হওয়ার পর এবার মুক্ত আদালতের কাঠগড়ায় সে সময়ের গোপন সামরিক বিচার-জানালেন আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক৷

আদালতে রিট আবেদন করেন প্রয়াত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু ইউসুফ খানের স্ত্রী এবং কর্ণেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন৷ কর্ণেল তাহেরের ভাই অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, অনেক বছর পর হলেও জাতির সামনে ইতিহাসের সত্য উন্মোচন করতেই তারা আদালতে এসেছেন৷ ইতিহাসের সত্য প্রতিষ্ঠিত হলে সামরিক সরকারের চাপানো দেশদ্রোহীর মিথ্যা দায় থেকে মুক্ত হবেন সেই গোপন বিচারের সাজাপ্রাপ্তরা, সেই প্রত্যাশার কথাও জানালেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন