1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক গোপন দলিল হস্তান্তরের দাবি পেন্টাগনের

৬ আগস্ট ২০১০

আফগানিস্তান যুদ্ধ সম্পর্কিত বিপুল সংখ্যক গোপন সামরিক দলিল প্রকাশ করে আলোচিত উইকিলিক্স৷ এখনও তারা যে ১৫ হাজার গোপন দলিল প্রকাশ করেনি সেগুলো হস্তান্তরের দাবি জানালো পেন্টাগন৷

https://p.dw.com/p/OdI1
Website, Wikileaks, Afghanistan, USA, War,
সম্প্রতি প্রকাশিত ৭০ হাজার গোপন দলিলসহ উইকিলিক্সের পেজের অংশছবি: picture alliance/dpa

এছাড়া প্রকাশিত দলিলসমূহ মুছে ফেলারও দাবি তুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর৷ সম্প্রতি ৭০ হাজার গোপন দলিল প্রকাশ করে বেশ হৈচৈ ফেলে দিয়েছে উইকিলিক্স৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইতিহাসে এটিই গোপন দলিল ফাঁস হওয়ার সবচেয়ে বড় ঘটনা৷ মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের আশঙ্কা, এই ঘটনা আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সৈন্য এবং তাদের সহযোগীদের জীবনকে আরো হুমকির দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ ফলে এর মাধ্যমে উইকিলিক্স নিজেদের কলঙ্কিত করেছে৷

তবে উইকিলিক্স প্রতিষ্ঠাতা অস্ট্রেলিয়ার কম্পিউটার প্রোগ্রামার জুলিয়ান আসাঞ্জ বলছেন, তাদের কাছে আরো ১৫ হাজার গোপন দলিল রয়েছে৷ আর মূলত নিরপরাধ মানুষদের জীবন বাঁচাতেই সেগুলো এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ এই প্রেক্ষিতে পেন্টাগন উইকিলিক্সের কাছে দাবি তুলেছে অপ্রকাশিত দলিলসমূহ ফেরত দেওয়ার৷ এছাড়া উইকিলিক্স যেন প্রকাশিত দলিলসমূহ অনলাইন থেকে মুছে ফেলে৷ এসব গোপন দলিলের প্রকৃত মালিক মার্কিন সরকার বলে উল্লেখ করেন পেন্টাগন মুখপাত্র জিওফ মোরেল৷

তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের সঠিক কাজটি করতে বলছি৷ আশা করি, তারা আমাদের দাবির প্রতি সম্মান জানাবে৷'' উইকিলিক্স যদি পেন্টাগনের এই দাবি না মানে, তবে প্রতিরক্ষা দপ্তর কি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে - সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে কোন বিশেষ পদক্ষেপের কথা বলেননি মোরেল৷ তবে সেক্ষেত্রে বিষয়টি মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং বিচার দপ্তরই ঠিক করবে বলে মোরেল জানান৷

মোরেলের কথায়, ‘‘তাদের পক্ষে যদি সঠিক কাজটি করা সম্ভব না হয়, তবে তাদেরকে সঠিক কাজ করতে বাধ্য করার জন্য বিকল্পসমূহ আমরা ভেবে দেখবো৷'' মূলত আফগানিস্তান যুদ্ধে সম্ভাব্য অতিরিক্ত ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতেই পেন্টাগনের এই দাবি বলে উল্লেখ করেন মোরেল৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলিও এসব গোপন দলিল ফেরত দেওয়ার জন্য উইকিলিক্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, গত ২৫ জুলাই এসব দলিল প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ঘটনার তদন্তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পেন্টাগন এবং এফবিআই৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম