1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক তদন্তে ইসরায়েল নির্দোষ বলে ঘোষণা

১৩ জুলাই ২০১০

বিগত তেসরা মে গাজা স্ট্রিপের জন্য ত্রাণসামগ্রীবাহী একটি জাহাজের ওপর ইসরায়েলি কমান্ডোর অভিযানে ন’জন তুর্কি আন্দোলনকারী নিহত হয়৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে ঐ ঘটনার জন্য ইসরায়েলি সৈন্যদের কোনো দোষ খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

https://p.dw.com/p/OHfw
তুর্কি, ইসরায়েল, Israel, Gaza, গাজা, জার্মানি, Germany
তুর্কি জাহাজের উপর ইসরায়েলি সৈন্যদের অভিযানে আহত আরোহী (ফাইল ফটো)ছবি: AP

সেনাবাহিনীর নিযুক্ত তদন্ত কমিশনের প্রধান প্রাক্তন জেনারেল জিওরা আইল্যান্ড সোমবার স্বীকার করেন যে, কয়েকটি ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, এমনকি উপরমহলেও৷ যেমন আগে থেকে ভালো খোঁজখবর থাকলে, এ'ধরণের রক্তপাত ঘটার কোনো কারণ ছিল না৷ অপরদিকে গাজার জন্য ত্রাণবাহী জাহাজটি আটকানোর প্রয়োজন ছিল, যা'তে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা স্ট্রিপে অস্ত্রশস্ত্র পাচার না করা যায়৷

আইল্যান্ডের ভাষ্য অনুযায়ী জাহাজে অবস্থানকারী আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলি সৈন্যদের উপর গুলি চালিয়েছে, এমন লক্ষণ আছে৷ সৈন্যদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া অস্ত্র দিয়েই তারা গুলি চালিয়েছে৷ সৈন্যরা জাহাজে ওঠার আগেই আন্দোলনকারীদের কাছে অন্তত একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল৷ সৈন্যরা আত্মরক্ষার প্রয়োজনেই গুলি চালিয়েছে৷ - ত্রাণপোতটির তুর্কি উদ্যোক্তারা কিন্তু বলেছেন যে, জাহাজের আরোহীরা প্রথমে গুলি চালায়নি৷ এবং তারা সৈন্যদের কাছ থেকে যে সব অস্ত্রশস্ত্র কেড়ে নেয়, সেগুলি সাগরের জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল৷

অপরদিকে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থমাস ডে মেইজিয়ার আন্তর্জাতিক মানবিক ত্রাণ সংগঠন নামধারী একটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছেন৷ সংগঠনটি জার্মানিতে নথিভুক্ত এবং এখান থেকে হামাস'কে সাহায্য করে থাকে, বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে প্রকাশ৷ জার্মানে আইএইচএইচ আদ্যক্ষরযুক্ত সংগঠনটি বিগত তিন বছেরে হামাসের সমাজকল্যাণমূলক সমিতিগুলিকে ৬৬ লাখ ইউরো পাঠিয়েছে৷ জার্মান গুপ্তচর বিভাগের খবর অনুযায়ী আইএইচএইচএর পিছনে রয়েছে মিলি গোয়রুস নামধারী একটি প্রধানত তুর্কি সংগঠন, যাদের জার্মানিতে প্রায় ৩০,০০০ সদস্য আছে৷ অপরদিকে তুরস্কেও একটি আইএইচএইচ সংগঠন আছে বলে প্রকাশ৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডে মেইজিয়ার বলেছেন, যে সব সংগঠন জার্মানির মাটি থেকে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারের বিরুদ্ধে কাজ করে, তারা তাদের সমিতি গড়ার অধিকার হারিয়েছে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই