1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিংহ আর বাঘিনীর প্রেম, জন্মেছে বাসিং তাইওয়ানে

১৮ আগস্ট ২০১০

বাঘিনী আর সিংহের মিলন ঘটিয়ে ‘বাসিং’ বা ‘লিগার’-এর জন্ম দিয়ে বিপাকে পড়েছেন এক তাইওয়ানি পশুপ্রেমী৷ দু’দিন বয়সের দুটি বাসিং-কে বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন৷

https://p.dw.com/p/OpwV
জন্ম নেওয়া দুটি লিগার শাবকছবি: AP

নাম তাঁর হুয়াং কুয়ো নান৷ পেশা সাপেদের মিলন ঘটানো৷ সোজা কথায় সাপের চাষ করেন তিনি তাঁর ‘ওয়ার্ল্ড স্নেক কিং এজুকেশন ফার্ম'-এ৷ একটি বাঘিনী আর একটি সিংহের মধ্যে মিলন ঘটিয়ে তাঁর ফার্মেই জন্মেছে দুটি বাসিং বা বাঘ সিংহের মিলনের ফলে জাত লিগার৷ কিন্তু কাজটা বেআইনি৷ বেআইনি বলেই সেই বাসিং দুটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন৷ হুয়াং কুয়ো নান-এর ১৬০০ মার্কিন ডলার জরিমানা হওয়ার জোরদার সম্ভাবনা৷

Tiger in Südchina
কমে আসছে বাঘ ও সিংহের বংশবৃদ্ধিছবি: AP

ব্যাপারটা অনেকটা সেই হাঁসজারু বা বকচ্ছপের মত৷ কিন্তু যেহেতু বাঘ আর সিংহ দুটিই বিরল জাতের প্রাণী, অতএব তাদের মধ্যে মিলন ঘটানোটা অপরাধ৷ বলছে তাইওয়ানের প্রশাসন৷ সেদেশের কৃষি দপ্তরের প্রধান কুয়ো ই পিনের বক্তব্য, এই সদ্যোজাত বাসিং দুটি বড় হয়ে তাদের বাপ মায়ের মত চেহারা পাবে না৷ তারা আকারে অনেক বড় হতে পারে এবং পরবর্তীকালে তাদের কোন সঙ্গী বা সঙ্গিনীও জুটবে না৷ অতএব তাদের স্বাভাবিক জীবন কাটানোর কোন সম্ভাবনাই নেই৷ বেচারা বাসিং-দের থাকতে হবে খাঁচায় বন্দি হয়ে সারাটা জীবন৷

হুয়াং কুয়ো নান কিন্তু অন্যরকম সাফাই দিয়েছেন৷ তিনি বলছেন, এই বাঘ সিংহের মিলনটা তিনি ইচ্ছে করে ঘটান নি৷ ছোট্টবেলা থেকে ওই বাঘিনী আর সিংহ একসঙ্গে বড়ো হয়ে উঠেছে৷ তাদের মধ্য কখন যে প্রণয় ঘটে গেছে তা তিনি জানতেও পারেন নি৷ চোখেও পড়ে নি বিষয়টি তাঁর৷ হঠাৎ দেখা যায় বাঘিনী গর্ভবতী৷ তারপরেই এই কান্ড৷

হুয়ানের ফার্মে মোট তিনটি বাসিং শাবকের জন্ম হয়েছিল৷ তাদের মধ্যে একটি শাবক মৃত অবস্থায় জন্মেছে৷ বাকি দুটি বাসিং-কে আপাতত সরকারি হেফাজতে সযত্নে রাখা হয়েছে৷ আর হুয়াং জরিমানা দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছে মামলা৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন