1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একজনের উদ্বেগ, আরেকজনের ছেলেমানুষি

অ্যান্ডি বুদিমান/এসি২৫ জুন ২০১৩

ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে আকাশ৷ জনজীবন, অর্থনীতি, পরিবেশ – সব কিছুতেই পড়ছে বিরূপ প্রভাব৷ এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে, দ্রুত ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সিঙ্গাপুর পেয়েছে অপ্রত্যাশিত জবাব৷

https://p.dw.com/p/18vEw
ছবি: Reuters

ইন্দোনেশিয়ার এক মন্ত্রী বলেছেন, সিঙ্গাপুরের আচরণ ‘বাচ্চাদের মতো’৷

ইন্দোনেশিয়ার বনাঞ্চলের আগুন শুধু সে দেশ নয়, প্রতিবেশী সিঙ্গাপুর আর মালয়েশিয়ার জন্যও বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ সিঙ্গাপুরে দেখা দিয়েছে বড় রকমের পরিবেশ বিপর্যয়৷ পলিউশন স্ট্যান্ডার্ড ইনডেক্স (পিএসআই) গত কয়েকদিনে উঠে গেছে ৪০০-তে৷ এ অবস্থা সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে আর কখনো হয়নি৷ জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে, খুব স্বাভাবিক৷ ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়ছে৷ বিমান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রীতিমতো৷ এ অবস্থায় পড়ে সিঙ্গাপুর দ্রুত ব্যবস্থা দাবি করেছিল ইন্দোনেশিয়ার কাছে৷ কিন্তু প্রত্যাশিত সাড়া পাওয়া যায়নি৷

Indonesien Waldbrände Singapur 21.06.2013
সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের মাস্ক পরতে হচ্ছেছবি: Reuters

ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় এখন দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি৷ গণমাধ্যমেরও সেদিকেই মনযোগ৷ তাছাড়া বনাঞ্চলে এমন আগুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম অধ্যুষিত দেশটির জন্য নতুন কিছু নয়৷ পাম তেল উৎপাদনের জন্য বনাঞ্চলে আগুন লাগানো ইন্দোনেশিয়ায় হয়েই থাকে৷ মুনাফালোভীরা ইচ্ছে করেও অনেকসময় আগুন লাগিয়ে বনকে পাম চাষের উপযোগী করে৷ এবারের আগুন সেভাবেই লেগেছে কিনা বলা যাচ্ছে না৷ আগুন নেভাতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেই দাবি করছে ইন্দোনেশিয়া৷ কিন্তু একটুও নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন৷ রিআউ প্রদেশে বণ্যপ্রাণী বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প প্রধান সুহান্দ্রি মনে করেন, এই খরার মৌসুমে বৃষ্টি না হলে আগুন নেভানো যাবে না৷

বৃষ্টির অপেক্ষা দীর্ঘ হলে আরো বিপদ৷ বাড়বে সিঙ্গাপুরের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠাও৷ কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার জণকল্যাণ মন্ত্রী আগুং লাকসোনো প্রতিবেশী দেশের প্রতিক্রিয়াকে দেখছেন অন্যভাবে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সিঙ্গাপুরের বাচ্চাদের মতো আচরণ করা উচিত নয়৷''

আগুনের জন্য দায়ী পাম তেল কম্পানিগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ তাঁর এ বক্তব্যে সিাঙ্গাপুর আরো ক্ষুব্ধ৷ পরিবেশ ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন বলেছেন, ‘‘সিঙ্গাপুরের মানুষের জীবনের দামে পরিবেশ দূষিত করার অধিকার কোনো দেশ বা সংস্থার নেই৷ আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে যাবো৷'' সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংও ভীষণ ক্ষুব্ধ৷ তাঁর একটাই দাবি, সিঙ্গাপুরের কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সত্যিই পেছনে থেকে থাকে, তাহলে নাম বলতে হবে৷ সিঙ্গাপুর অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইন্দোনেশিয়াকেও পরিবেশন দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য