1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিডনির কাফেতে সশস্ত্র আক্রমণকারী, পণবন্দি

১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহরের কেন্দ্রে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল পৌনে দশটায় এই পণবন্দি নাটক শুরু হয়৷ আক্রমণকারী জিহাদি কিনা – তা নিশ্চিত নয়, তবে পণবন্দিরা কাফের জানলায় মুসলিম শাহাদা প্রদর্শন করতে বাধ্য হয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1E4Cp
Australien Geiselnahme in Sydney 15.12.2014
ছবি: Getty Images/M. Metcalfe

এই শাহাদা ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাস গোষ্ঠীও পতাকা হিসেবে ব্যবহার করে থাকে৷ কাফেতে যে পণবন্দিরা এখনও বাকি আছেন, তাদের মধ্যে দু'জন বাইরে একটি টেলিভিশন সংস্থাকে জানিয়েছেন যে, আক্রমণকারী ইসলামিক স্টেট বা আইসিস গোষ্ঠীর একটি পতাকা দাবি করেছে এবং অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট-এর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে৷ অনুরূপ সূত্রে প্রকাশ যে, কাফেতে দু'টি বোমা রাখা আছে, বলে আক্রমণকারী জানিয়েছে৷ এছাড়া সিবিডি অর্থাৎ সিডনি সেন্ট্রাল বিজনেস ডিসট্রিক্ট-এ আরো দু'টি বোমা রাখা আছে, বলে আক্রমণকারী দাবি করেছে৷ পুলিশের তরফ থেকে এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করা হয়নি৷

সিডনির বিজনেস তথা ফাইন্যান্সিয়াল ডিসট্রিক্টের কেন্দ্রে লিন্ড্ট চকোলেট কাফেতে এই আক্রমণের ঘটনা ঘটে৷ তার ছ'ঘণ্টা পরে পাঁচজন পণবন্দি পলায়ন করতে সমর্থ হন: তিনজন পুরুষ কাফের ফায়ার এক্সিট দিয়ে পালাতে পারেন; পরে কাফের দু'জন মহিলাকর্মী দৌড় দিয়ে আধাসামরিক পুলিশদের কর্ডনে পৌঁছে যান৷ কাফের ভিতর এখনও ক'জন পণবন্দি আছেন, তা অজ্ঞাত, তবে তাদের সংখ্যা দৃশ্যত ৩০ কি ৪০ নয়, যদিও সূচনায় তা-ই আশঙ্কা করা হচ্ছিল৷

পুলিশ আপাতত একজন আততায়ীর কথাই বলছে, তবে একাধিক আক্রমণকারী থাকার সম্ভাবনাও বাদ দিচ্ছে না৷ স্নাইপার এবং সোয়াট পুলিশ গোষ্ঠীর সদস্যরা কাফের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে, মাথার উপর পুলিশ হেলিকপ্টার ঘুরছে৷ কাছাকাছি একাধিক অফিস ভবন খালি করা হয়েছে৷ নিকটবর্তী মার্কিন কনস্যুলেট-ও খালি করা হয়েছে – এমনকি বিশ্বখ্যাত সিডনি অপেরা হাউস-ও সাময়িকভাবে খালি করা হয়েছিল. বলে প্রকাশ৷

Australien Geiselnahme in Sydney 15.12.2014
কাফের এক মহিলা কর্মী পালাতে পারলেনছবি: Reuters/J. Reed

১৯৭৮ সালে সিডনির হিল্টন হোটেলে একটি বোমা আক্রমণের ঘটনায় দু'জন ব্যক্তি প্রাণ হারানো যাবৎ এই শহরে আর এতবড় নিরাপত্তা অভিযান পরিলক্ষিত হয়নি৷ অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ায় ইসলামপন্থিদের হানা দেওয়ার সম্ভাবনা গত এক বছর ধরে বেড়েই চলেছে৷ গত সেপ্টেম্বর মাসে সেই সম্ভাবনাকে ‘‘উচ্চ'' পর্যায়ে তোলা হয় এবং জনসাধারণকে সতর্ক করে দেওয়া হয় – কেননা আইসিস গোষ্ঠী তখন অস্ট্রেলিয়া সহ বিভিন্ন পশ্চিমি দেশে বসবাসকারী আইসিস সমর্থকদের প্রতি স্বদেশে সামরিক অথবা বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালানোর ডাক দেয়৷ ঐ সেপ্টেম্বরেই অস্ট্রেলীয় পুলিশ জানায় যে, তারা কোনো নিরপরাধ পথচারীর মুণ্ডচ্ছেদের একটি সন্ত্রাসী পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ করেছে৷ অপরদিকে মেলবোর্নে এক কিশোর দু'জন সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধী কর্মকর্তাকে ছুরিকা সহ আক্রমণ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়৷

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সিডনির লিন্ড্ট কাফে'র পণবন্দিদের মধ্যে ভারতের ইনফোসিস আইটি কোম্পানির এক কর্মীও আছেন, বলে প্রকাশ৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য