1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইইউ

১১ মে ২০১১

সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সিরিয়ায় কেন্দ্র হয়ে ওঠা হোমস শহরে বুধবারেও চলেছে হামলা৷ এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার ওপর নতুন করে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে৷

https://p.dw.com/p/11Do2
সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠেছে হোমস শহরছবি: AP

বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলা, দলন বন্ধ হচ্ছে না৷ আজকেও হোমস শহরে প্রতিবাদকারীদের ওপর গোলাগুলি চলেছে৷ উপকূলীয় বানিয়াস শহরে সেনাবাহিনী বিরুদ্ধ মতের লোকদের পাকড়াও করেছে আরো, বলছেন মানবাধিকারবাদীরা৷ হোমস'এর বাব আমার এলাকা এবং আশপাশের মাশাদা, জোবার ও সুলতানিয়া গ্রামে তাঁরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন৷ এই গ্রামগুলোর বাসিন্দা হবে এক লাখের মত৷ তাদের বেশির ভাগই বেদুঈন৷ আর এই বেদুঈনরা সেই সোমবার থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের অপারেশনের লক্ষ্যবিন্দু হয়ে আছে৷ হোমস'এর প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট৷ লন্ডন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি অফ হিউম্যান রাইটস সংস্থার রামি আব্দুল রহমান জানিয়েছেন, বানিয়াস'এর যে চত্বরে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে মঙ্গলবার রাত থেকেই ট্যাংক বসানো হয়েছে৷

সাতাশ সদস্যদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবারেই সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ এছাড়া বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অন্তর্গত ১৩ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যাদের সহায় সম্পত্তি জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ সংশ্লিষ্ট ইইউ দেশগুলোতে তাদের যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে৷ তালিকায় আসাদের ছোট ভাই মেহেরও আছেন৷ কিন্তু খোদ আসাদ কেন এই তালিকায় নেই তা নিয়ে বুধবার কড়া প্রশ্ন তোলেন স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাংসদরা৷ ইইউ'এর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন'কে উদ্দেশ্য করে সবুজ দলের ইউরোপীয় নেতা ডানিয়েল কোন-বেন্ডিট বলেন: ‘‘শুধু আসাদ ক্ষমতা ছাড়লেই সিরিয়ায় একটি সমাধান আসবে৷ ফলে এটা পরিষ্কার যে, আসাদ ও তাঁর গোটা পরিবারকেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, আগামীকাল নয়, আজই৷''

অ্যাশটন অবশ্য সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ'কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী টার্গেট হতে পারেন তিনি৷ আজ বার্লিনে এক যৌথ ইউরোপীয় পদক্ষেপ হিসেবে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়৷ উদ্দেশ্য, একথাটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া যে সিরিয়া তার দমননীতি অবিলম্বে না বদলালে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে৷ ওদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে মাত্রাধিক শক্তি প্রয়োগ না করার এবং সংস্কারের ডাকে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ