সিরিয়ার ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ইইউ
১১ মে ২০১১বিক্ষোভকারীদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলা, দলন বন্ধ হচ্ছে না৷ আজকেও হোমস শহরে প্রতিবাদকারীদের ওপর গোলাগুলি চলেছে৷ উপকূলীয় বানিয়াস শহরে সেনাবাহিনী বিরুদ্ধ মতের লোকদের পাকড়াও করেছে আরো, বলছেন মানবাধিকারবাদীরা৷ হোমস'এর বাব আমার এলাকা এবং আশপাশের মাশাদা, জোবার ও সুলতানিয়া গ্রামে তাঁরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন৷ এই গ্রামগুলোর বাসিন্দা হবে এক লাখের মত৷ তাদের বেশির ভাগই বেদুঈন৷ আর এই বেদুঈনরা সেই সোমবার থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের অপারেশনের লক্ষ্যবিন্দু হয়ে আছে৷ হোমস'এর প্রবেশপথে বসানো হয়েছে চেকপয়েন্ট৷ লন্ডন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি অফ হিউম্যান রাইটস সংস্থার রামি আব্দুল রহমান জানিয়েছেন, বানিয়াস'এর যে চত্বরে বিক্ষোভ হয়েছে সেখানে মঙ্গলবার রাত থেকেই ট্যাংক বসানো হয়েছে৷
সাতাশ সদস্যদেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন মঙ্গলবারেই সিরিয়ার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে৷ এছাড়া বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অন্তর্গত ১৩ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যাদের সহায় সম্পত্তি জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয় ইইউ৷ সংশ্লিষ্ট ইইউ দেশগুলোতে তাদের যাওয়ার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে৷ তালিকায় আসাদের ছোট ভাই মেহেরও আছেন৷ কিন্তু খোদ আসাদ কেন এই তালিকায় নেই তা নিয়ে বুধবার কড়া প্রশ্ন তোলেন স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাংসদরা৷ ইইউ'এর পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন'কে উদ্দেশ্য করে সবুজ দলের ইউরোপীয় নেতা ডানিয়েল কোন-বেন্ডিট বলেন: ‘‘শুধু আসাদ ক্ষমতা ছাড়লেই সিরিয়ায় একটি সমাধান আসবে৷ ফলে এটা পরিষ্কার যে, আসাদ ও তাঁর গোটা পরিবারকেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, আগামীকাল নয়, আজই৷''
অ্যাশটন অবশ্য সিরিয়ার নেতা বাশার আল আসাদ'কে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরবর্তী টার্গেট হতে পারেন তিনি৷ আজ বার্লিনে এক যৌথ ইউরোপীয় পদক্ষেপ হিসেবে সিরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়৷ উদ্দেশ্য, একথাটা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া যে সিরিয়া তার দমননীতি অবিলম্বে না বদলালে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে৷ ওদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুনও প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে মাত্রাধিক শক্তি প্রয়োগ না করার এবং সংস্কারের ডাকে সাড়া দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ