1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাটাকিয়ায় ইসরায়েলি বোমা

১ নভেম্বর ২০১৩

গত বুধবার ইসরায়েলি জঙ্গি বিমান সিরিয়ার লাটাকিয়ায় বোমা ফেলেছে বলে খবর৷ উদ্দেশ্য: হেজবোল্লাহকে অস্ত্রপ্রেরণ বন্ধ করা৷ ইসরায়েলি মিডিয়া এ খবর জানালেও, ইসরায়েলি সরকারের কাছ থেকে এ যাবৎ কোনো স্বীকৃতি নেই৷

https://p.dw.com/p/1AA5p
An Israeli F-15 I fighter jet launches anti-missile flares during an air show at the graduation ceremony of Israeli pilots at the Hatzerim air force base in the Negev desert, near the southern Israeli city of Beersheva, on December 27, 2012. AFP PHOTO / JACK GUEZ (Photo credit should read JACK GUEZ/AFP/Getty Images)
ছবি: Getty Images

খবরটা বেরোয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে৷ সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে যায় জল্পনা-কল্পনা৷ দৃশ্যত লাটাকিয়ায় বোমা ফেলার জন্য ইসরায়েলি বিমানগুলির সিরিয়ার বায়ু অঞ্চলে প্রবেশ করার পর্যন্ত প্রয়োজন পড়ে না – লেবাননের আকাশ থেকেই তারা সেটা করতে পারে৷

সৌদি আল-আরাবিয়া টেলিভিশনের বিবরণ অনুযায়ী ইসরায়েলি বিমান হানার লক্ষ্য ছিল একটি সিরীয় সামরিক ঘাঁটি, যেখানে হেজবোল্লাহ-র জন্য নির্দিষ্ট কিছু সার্ফেস-টু-সার্ফেস মিসাইল রাখা ছিল৷ লাটাকিয়া বস্তুত সরকারি সৈন্যদের একটি বড় ঘাঁটি৷ ইসরায়েল এই সর্বাধুনিক আক্রমণ সম্বন্ধে কিছু না বললেও, গত মে মাসেই ইসরায়েল সিরিয়ার অভ্যন্তরে দু'টি বিমান হানা চালিয়েছে৷ উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্য ছিল হেজবোল্লাহ-র জন্য নির্দিষ্ট অস্ত্রশস্ত্র৷

রাসায়নিক অস্ত্র

বৃহস্পতিবারেই অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অফ কেমিকাল উইপন্স, অর্থাৎ রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংগঠন বা ওপিসিডাবলিউ ঘোষণা করে যে, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রশস্ত্র ‘‘ট্যাম্পার প্রুফ'' সিল দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ সেই সিল জাল করার কোনো উপায় নেই৷ এভাবে প্রায় এক হাজার টন রাসায়নিক এবং ২৯০ টন রাসায়নিক অস্ত্র সিল করে দেওয়া হয়েছে৷ এছাড়া সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের যন্ত্রপাতি অকেজো করে দেওয়া হয়েছে বলে ওপিসিডাবলিউ জানায়৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে প্রদত্ত সময়সূচি অনুযায়ী এই শুক্রবারের মধ্যেই এ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল৷

শান্তি প্রচেষ্টা

ওদিকে তথাকথিত ‘‘জেনেভা দুই'' আলাপ-আলোচনার প্রস্তুতি চলেছে৷ জাতিসংঘ তথা আরব লিগের প্রতিনিধি লাখদার ব্রাহিমি গোটা এলাকায় ঘুরে মনোভাব ও পরিস্থিতি যাচাই করে দেখছেন৷ বুধবার তিনি বাশার আল-আসাদের সঙ্গে মিলিত হন এবং জানান, সিরিয়া সরকার আলাপ-আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন এবং বিরোধীরা তাদের প্রতিনিধি রাখার কোনো পন্থা খুঁজে পাবার চেষ্টা করছে কেননা পূর্বাপর তাদের প্রাথমিক দাবি, আসাদের পদত্যাগ৷ ব্রাহিমি চিন্তিত, কেননা বিরোধীদের অংশগ্রহণ না করলে ‘জেনেভা দুই' বৈঠক সংঘটিত হবে না বলে ব্রাহিমি জানিয়েছেন৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য