1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

১৩ মার্চ ২০১৮

জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা এবং বেসামরিক নাগরিকদের ‘অমানবিক দুর্ভোগ' বন্ধ করার জন্য তাঁর দেশ কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত৷ যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/2uEKD
USA UN-Sicherheitsrat US-Botschafterin für die UN Nikki Haley
ছবি: picture-alliance/dpa/AA/A. Ozdil

সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় ৩০ দিনের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের খসড়া প্রস্তাব পেশ করেন নিকি হ্যালি৷ এ সময় তিনি জানান, আর রাসায়নিক হামলা হলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চয়ই উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাবে৷ তিনি বলেন, ‘‘যেসব দেশ রাসায়নিক হামলা এবং অমানবিক দুর্ভোগ বাড়ানোর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছাপূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাদের, বিশেষ করে সিরিয়ার বেআইনি সরকারকে এই বলে সতর্ক করে দিতে চাই যে, যুক্তরাষ্ট্র পালটা ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত আছে৷''

নিকি হ্যালি জানান, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করেছিল, তা কার্যত পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে৷ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, ওই যুদ্ধবিরতিকে কাজে লাগিয়ে আসাদ সরকার, ইরান এবং রাশিয়া প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে চলেছে৷ নিকি হ্যালি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতি শুরুর প্রথম দিকে রাশিয়া দিনে অন্তত ২০ বার দামেস্ক এবং গুটায় বোমা হামলা চালিয়েছে৷

যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতির খসড়ায় যুদ্ধরত কোনো পক্ষ যুদ্ধবিরতি চলার সময় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাতে পারবে না৷ এর ফলে যুদ্ধবিরতিচলাকালীন ৩০ দিন জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপরও হামলা চালানো যাবে না৷ আসাদ সরকারবিরোধী পশ্চিমা শক্তি মনে করে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সুযোগ থাকায় সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসাদ বাহিনী এবং রাশিয়া বারবার হামলা চালাচ্ছে৷

জাতিসংঘে রাশিয়ার নিযুক্ত দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া অবশ্য সিরিয়া পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্টকেই দায়ী করেছেন৷ তিনি জানান, রাশিয়া মনে করে, ‘‘আসাদ সরকারকে দোষারোপ করা এবং রাশিয়ার কাছে বিভিন্ন দাবি উত্থাপন ছাড়া যুক্তরাষ্ট আসলে কিছুই করছে না৷''

'Hell on Earth': Eastern Ghouta

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী ইতিমধ্যে গুটার শতকরা ৬০ ভাগ এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে৷ ব্রিটেনভিত্তিক এই মানবাধিকার সংস্থা আরো জানাচ্ছে, গত কিছুদিনে গুটায় অন্তত ১১০০ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ২৪১ জন শিশু৷

এদিকে ফ্রান্স মনে করে একমাত্র রাশিয়া চাইলেই সিরিয়ায় রক্তপাতবন্ধ হতে পারে৷ তাই জাতিসংঘে ফ্রান্সের দূত ফ্রঁসোয়া দুলাত্রে বলেছেন, ‘‘আমরা সবাই জানি যে, রাশিয়া এখনো সামরিক হামলা বন্ধ করেনি৷ অথচ রাশিয়া বোমা হামলা বন্ধ করে আসাদ সরকারকেও হামলা বন্ধে রাজি করলে রক্তস্নান থামাতে পারে৷ ''

এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান