1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়া নিয়ে সংঘাত

১২ এপ্রিল ২০১৭

মস্কো সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ কিন্তু সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা ও সে দেশের বিমানঘাঁটির উপর মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷ জাতিসংঘ তদন্তের উদ্যোগ নিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2b5mt
মস্কোয় টিলারসন
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Shcherbak

সিরিয়ায় বিমানঘাঁটির উপর মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে রাশিয়া কতটা রুষ্ট হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের মস্কো সফরের সময়ে তা স্পষ্ট হয়ে গেল৷ বুধবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনার আগেই পরিবেশ অত্যন্ত থমথমে হয়ে উঠেছে৷ দু'পক্ষের বাকযুদ্ধ নতুন মাত্রা পাচ্ছে৷ ফলে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর রাশিয়ায় মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফরের উপর কালো ছায়া পড়ছে৷ ব্যক্তিগত পর্যায়ে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে টিলারসনের অতীত উষ্ণ সম্পর্ক সত্ত্বেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন এ যাত্রায় তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন না বলেও শোনা যাচ্ছে৷

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার জন্য বাশার আল-আসাদ প্রশাসনকে রাশিয়া সাহায্য করেছিল, কিছু মার্কিন কর্মকর্তার মুখ থেকে এমন গুরুতর অভিযোগ শোনা গেছে৷ হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এমনকি হিটলার-ও রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেননি৷ তবে সেই তথ্য ভুল হওয়ায় প্রবল সমালোচনার মুখে তাঁকে পিছু হঠতে হয়েছে৷

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাটিস বলেছেন, এই রাসায়নিক হামলার পেছনে আসাদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত৷ তিনি বলেন, আসাদ আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে গোপন রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করলে অ্যামেরিকা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না৷

মস্কোর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবার আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন বলেন, রাশিয়া আসাদ প্রশাসন, ইরান ও হেজবোল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত গড়ে তুলেছে৷ কিন্তু তার ফলে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের ক্ষতি হবে বলে তিনি ইঙ্গিত করেন৷ তাঁর মতে, এর বদলে অ্যামেরিকা, পশ্চিমা জগত ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে মস্কোর সহযোগিতা করা উচিত৷

অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন অভিযোগ করেছেন, সিরিয়ার বিদ্রোহীরাই রাসায়নিক হামলা চালিয়ে আসাদ প্রশাসনের উপর তার দায় চাপানোর চেষ্টা করছে৷ তিনি জাতিসংঘের উদ্যোগে এই হামলার বিস্তারিত তদন্তের দাবি করেছেন৷ এই প্রসঙ্গে তিনি ২০০৩ সালে ইরাকের উপর মার্কিন হামলার বিষয়টি টেনে আনেন৷ পুটিন বলেন, সেবারও সাদ্দাম হুসেনের হাতে মারণাত্মক অস্ত্রের অজুহাত দিয়ে অ্যামেরিকা আগ্রাসন চালিয়েছিল৷

তুরস্ক জানিয়েছে, রাসায়নিক হামলায় আহতদের রক্ত ও মূত্র পরীক্ষায় নিষিদ্ধ সারিন নার্ভ এজেন্টের চিহ্ন পাওয়া গেছে৷ ফলে আসাদ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তির আরও জোরদার হচ্ছে৷ কারণ চুক্তি অনুযায়ী সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলার কথা ছিল৷

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার সিরিয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ তাতে সিরিয়ার প্রশাসনের উদ্দেশ্যে রাসায়নিক হামলার আন্তর্জাতিক তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার ডাক দেওয়া হবে৷ তবে রাশিয়া এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো প্রয়োগ করবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য