1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুইজারল্যান্ডে ছুটি কাটানোর অভিনব উপায়

১৩ জুলাই ২০১০

অবকাশ যাপনে সুইজারল্যান্ডের বেশিরভাগ মানুষই সাগর পাড়ে যায়৷ কিন্তু এখন অনেকেই খুব সাদাসিধেভাবে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাচ্ছে পাহাড়ে গিয়ে৷ আর সেখানে তাদের সঙ্গী হচ্ছে গরু৷

https://p.dw.com/p/OIJO
গরু নিয়ে ছুটি কাটানো!ছবি: picture-alliance / united-archives/mcphoto

আজ থেকে ৫ বছর আগে মিশেল ইজোজ ‘মা-ভাশ-আ-মোয়া' নামে একটা গরু পালন প্রকল্প হাতে নেন৷ ফরাসি ভাষায় এর অর্থ ‘মাই কাউ' বা আমার গরু৷ এই প্রকল্প সুইজারল্যান্ডের শহরবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে৷ ভো জেলার লা লেশারেট এলাকার এক খামারে ভাড়া দেওয়ার জন্য গরু আছে ২০টি৷ শুধু ইডা, রোজেট, টোলা, উরসুলা, উজিন ও কেনেল নামের গরু এখনো পাওয়া যাচ্ছে৷ বাকিগুলো গ্রীষ্মকালের জন্য আগেই বুক হয়ে গেছে৷

ইজোজ বলেন, কিছু কিছু গরু অন্য গরুদের চেয়ে বেশি জনপ্রিয়, বিশেষ করে যেগুলোর শিং আছে তাদের সুন্দর দেখায়৷ ক্রেতারা ওয়েব সাইটে ঢুকে চারণভূমিতে গরুর ছবিসহ ক্যাটালগ দেখেন৷ এরপর পছন্দের পালা৷ ২৮০ ইউরোতে এক মৌসুমের জন্য একটি গরু রিজার্ভ করতে পারেন৷ তখন তাদের যখন ইচ্ছা পশুটাকে দেখতে যেতে পারেন৷

বেশিরভাগ রিজার্ভেশনই দেওয়া হয় উপহার হিসেবে৷ ইজোজ ব্যাপারটিকে এইভাবে ব্যাখ্যা করেন৷ তাঁর মতে, এই প্রকল্পটি শহরের মানুষদের শহুরে জীবনের চাপ থেকে মুক্তি ও পার্বত্য কঠিন জীবনে বাস করার মধ্যে তুলনা করার সুযোগ এনে দেয়৷

ইজোজ বার্তা সংস্থা এএফপি কে জানান, তিনি এই প্রকল্পটি প্রথমে শুরু করেছিলেন মানুষকে এটা দেখাতে যে, আমরা যেমন কল্পনা করি খামারের জীবন বাস্তবে তার চেয়ে ভিন্ন৷

ইজোজ ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় দরকারি মনে করেন৷ দিনে অন্তত ৪ ঘণ্টা খামারে কাজ করা৷ আর সেসময় তারা গরু চরাতে পারেন, কাঠ কাটতে পারেন, তাদের চিকিৎসায় অংশ নিতে পারেন কিংবা চিজ তৈরি করতে পারেন৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন